বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আমাদের লক্ষ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন : প্রধানমন্ত্রী

আমাদের লক্ষ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'নির্বাচন আসছে এবং এটি জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার রক্ষা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য।’ তিনি আজ তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের (এএলসিডব্লিউসি) সভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ পর্যন্ত জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আওয়ামী লীগের অবদান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দল জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, সরকার গঠন করেছে এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করেছে।

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, যখনই মানুষ শান্তিতে বসবাস করে, তখনই বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তিনি আরো বলেন, 'এই অস্থিরতা ও অগ্নিসন্ত্রাস থেকে জনগণকে বাঁচাতে হবে, এটাই মূল কাজ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার জন্য স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে।  অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার মাধ্যমে দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সব দিক থেকে ষড়যন্ত্র করছে। এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আগামী দিনগুলোতে কেউ যেন দেশের অগ্রযাত্রা থামাতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

বাংলাদেশের মাটিতে অগ্নিসন্ত্রাসী, জঙ্গি ও দুর্নীতিবাজদের অতীতের মতো প্রতিহত করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালে জনগণই অগ্নিসংযোগকারী, দুর্নীতিবাজ ও জঙ্গিদের প্রতিহত করেছিল। ষড়যন্ত্রকারী, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, অস্ত্র চোরাকারবারি ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই বিশ্বাস নিয়েই বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা জঙ্গিবাদ, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র চোরাচালান, দুর্নীতিবাজ ও এতিমদের অর্থ আত্মসাৎকারীদের চায়, নাকি তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চায়। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসরাইলিদের মতো বিএনপি-জামায়াতও সাধারণ মানুষ, হাসপাতাল ও পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেনি, বরং জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরতা অনেক বেশি। বিভিন্ন জরিপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রয়েছে ।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের উসকানির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এক্ষেত্রে উগ্র ডানপন্থী জামায়াত ও কমিউনিস্টসহ উগ্র বাম সংগঠনগুলো একযোগে কথা বলছে। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আন্দোলনের নামে ভাঙচুরের কারণে কোনো কারখানা ধ্বংস হলে উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হবে, শ্রমিকদেও রুটিরুজি ও ভরণপোষণ ব্যাহত হবে। তিনি বলেন, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম ১২ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করলেও স্বার্থান্বেষী মহল গার্মেন্টস শিল্পকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নকে শুধু মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল বা বড় ফ্লাইওভারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি। তিনি বলেন, 'আমরা শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নের গুরুত্ব দিয়েছি।


সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন