বাংলাবাজার ডেস্ক
লাইফস্টাইল: যদি সুস্থ থাকতে চান, তাহলে নিয়মিত সাঁতরান। সাঁতার অনেক বড় একটি ব্যায়াম, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমানে ব্যায়াম প্রয়োজন আমাদের। দিনের জন্য বরাদ্দ নানা রকম ব্যায়ামের পরিবর্তে সাঁতার কাটলেই কিন্তু এই কাজ সহজ হয়ে যায়।
কারণ সাঁতারের মতো ভালো ব্যায়াম খুব কমই আছে। এতে পেশি সুঠাম হয়, দেহমন ভালো থাকে। শরীরে চনমনে ভাব আসে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাথা থেকে পায়ের আঙুল- সাঁতার গোটা শরীরের ব্যায়াম করিয়ে নেয়। এমনকি শুধু পানিতে ভেসে থাকাও শরীরের জন্য ভালো।
জেনে নিন সাঁতারের উপকারিতা
সাঁতার কাটলে হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুস সুস্থ থাকে। যারা রোজ সাঁতার কাটেন, তাদের হার্টের সমস্যাও কমে অনেকখানি। অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করতে চাইলে সাঁতারের বিকল্প নেই।
আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কিংবা হাঁটু, পায়ের ব্যথা থাকলেও সাঁতার কাটতে পারেন। অনেক সময়ে এই ধরনের রোগে ব্যায়াম করতে সমস্যা হলেও সাঁতারে সাধারণত তা হয় না।
অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের মতো রোগে অস্থিসন্ধির যন্ত্রণা, আড়ষ্ট ভাবও কমাতে সাহায্য করে সাঁতার।
হতাশা দূর করতে সাঁতার খুবই কার্যকর।
ডিমেনশিয়া জাতীয় নানা মানসিক সমস্যায় মস্তিষ্ক ও মন ভালো রাখার অন্যতম উপায় হিসেবে সাঁতারকে বেছে নেন বিশেষজ্ঞরা।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বার্ধক্যজনিত অনিদ্রাও দূর করে সাঁতার। ইনসমনিয়ার মতো সমস্যায় যারা ভোগেন, তারা নিয়মিত সাঁতার কাটলে ভালো থাকবেন। ঘুমও হবে ভালো।
বিশেষ করে পেশি শক্তিশালী করতে সাঁতার অপরিহার্য একটি ব্যায়াম। এতে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
সতর্কতা
হাঁপানির কিংবা সাইনাসের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর সাঁতার কাটবেন।
গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন অবশ্যই।
সাঁতার কাটতে গিয়ে অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ত্বক। একই সুইমিং পুল একাধিক মানুষ ব্যবহার করার ফলে ত্বকে অ্যালার্জি, র্যাশ দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অত্যাধিক ক্লান্ত থাকলে, ঠাণ্ডা লাগলে কিংবা প্রচণ্ড গরম থেকে এসেই সঙ্গে সঙ্গে পানিতে নামবেন না। খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর নামুন।
বিদ্যুৎ চমকালে বা মেঘ ডাকলে পুল থেকে উঠে পড়ুন সঙ্গে সঙ্গে। সাঁতার কাটার সময় মুখে চিউয়িংগাম জাতীয় কিছু রাখবেন না।
সাঁতার কাটার সময়ে লাইফগার্ডের নিয়মাবলি মেনে চলবেন অবশ্যই।