আবারও ভক্তদের চমকে দিলেন লিওনেল মেসি। চার দিনে দুই হ্যাটট্রিক করে দেখালেন তার পায়ের যাদু।
গত ১৬ অক্টোবর ২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের খেলায় বলিভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন মেসি। ওই ম্যাচে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। চারদিন পর আজ রোববার (২০ অক্টোবর) নিজের ক্লাব ইন্টার মিয়ামির হয়ে আরও একটি হ্যাটট্রিক করলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
মেসির হ্যাটট্রিকের সুবাদে এমএলএসে (মেজর লিগ সকার) প্রতিপক্ষ নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যুলেশনকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে মিয়ামি। বিশাল জয়ে এমএলএসের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড করেছে ক্লাবটি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতাটির আগের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে মৌসুম শেষ করেছে তারা।
৩৪ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে ২০২৪ মৌসুম শেষ করেছে টেবিলের শীর্ষে থাকা মিয়ামি। এমএলএসের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ পয়েন্ট। এর আগে ২০২১ সালে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে মৌসুম শেষ করেছিল নিউ ইংল্যান্ড। অর্থাৎ নিউ ইংল্যান্ডকে হারিয়েই নিউ ইংল্যান্ডের একক রেকর্ড ভেঙেছে মিয়ামি।
মিয়ামির হোমম্যাচে ৫৭ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। এরপর সবাইকে চমক দেখিয়ে মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। ৭৮ মিনিট থেকে ৮৯ মিনিটের মধ্যে ৩ গোল করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
মিয়ামির হয়ে এটি মেসির প্রথম হ্যাটট্রিক। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে ২৫ ম্যাচ খেলেছেন মেসি।
ক্লাব ও আন্তর্জাতিক খেলায় সব মিলিয়ে ৫৯ বার হ্যাটট্রিক করেছেন মেসি। এর মধ্যে বলিভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকটি ছিল ১০তম আন্তর্জাতিক হ্যাটট্রিক। বাকি ৪৯টি হ্যাটট্রিক ক্লাবের জার্সিতে করেন ৮ বারের ব্যালন ডি'অরজয়ী তারকা।
ক্লাবের হয়ে আগের ৪৮টি হ্যাটট্রিকই বার্সেলোনার জার্সি গায়ে করেছেন মেসি। স্প্যানিশ লা লিগার ক্লাবটিতে ৫২০ ম্যাচে এসব হ্যাটট্রিক করেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
মিয়ামিতে আসার আগে পিএসজিতে ছিলেন মেসি। ফরাসি ক্লাবটির হয়ে ৫৮ ম্যাচ খেললেও একবারও হ্যাটট্রিক করতে পারেননি মেসি।