জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত কপ-২৯ সম্মেলন উপলক্ষে এই মুহূর্তে আজারবাইজানের বাকুতে রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সম্মেলনে যোগ দিয়ে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন কপ-২৯ শীর্ষ সম্মেলনের মূল পর্বে অন্তত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে বক্তব্য রাখবেন ড. ইউনূস।
বার্তায় বলা হয়, কপ-২৯ ভেন্যুতে বিশ্ব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং তুর্কি ফার্স্ট লেডির সঙ্গে দেখা করেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তাকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান। গভীর সংস্কার ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যাত্রায় বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি। ড. ইউনূস তাদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সম্মেলনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা। জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়ে বন্দি ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান ড. ইউনূস ।
এছাড়া, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেলের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি।
অন্যদের মধ্যে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, ঘানার রাষ্ট্রপতি, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার প্রধানমন্ত্রী, রুয়ান্ডার রাষ্ট্রপতি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী, মন্টিনিগ্রোর রাষ্ট্রপতি, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিল ও ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফিফা সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। এদিন আইওএম মহাপরিচালকের সঙ্গেও দেখা করেছেন ড. ইউনূস।
আগামী বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পর্যন্ত আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা। জানা গেছে, এই সফরে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করবেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যেভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে নিজেদের দাবিদাওয়া কী, সেসব বিষয় বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন ড. ইউনূস।
এর আগে, জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে সোমবার (১১ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। সেখানকার একটি হোটেলে আয়োজিত সমন্বয় সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে তিনি বলেন, আমাদের প্রধান প্রচেষ্টা হবে আমাদের উদ্বেগ ও দাবিগুলো কপ-২৯ এর চূড়ান্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত করা।