কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল মাঠে গড়াবে রোববার। ফুটবল বিশ্বকাপের এই মহোৎসবে কে হাসবে শেষ হাসি? আর্জেন্টিনার মেসি নাকি ফ্রান্সের এমবাপ্পে?। দুই দেশের এই দুই তারকার পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় থাকবে সারা বিশ্বের সমর্থকরা।
নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মনপ্রাণ দিয়ে লড়বে দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের দুই দেশ আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স। লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
ফাইনালের আগে বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স পড়েছে বড় দুশ্চিন্তায়। ফ্রান্স শিবিরে দেখা দিয়েছে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এতে হাইভোল্টেজ ফাইনালে দলটির নিয়মিত সেন্টারব্যাক জুটিকে পাওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
বিশেষ করে ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারান ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বকাপ ফাইনালের ঠিক আগে। তার শরীরে দেখা দিয়েছে ভাইরাসের কিছু উপসর্গ। এছাড়া সতীর্থ ইব্রাহিমা কোনাতে অসুস্থ হয়ে নিজের কক্ষ ছেড়েই বের হতে পারেননি।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালের দুই দিন আগে অনুশীলন মিস করা ফ্রান্সের পাঁচ খেলোয়াড়ের মধ্যে ভারানে এবং কোনাতে ছিলেন। সেমিফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে খেলেছিলেন কোনাতে।
এর আগে আরেক ডিফেন্ডার ডায়ট উপামেকানো, মিডফিল্ডার আদ্রিয়েন রাবিতে ও কিংসলে কোমান সপ্তাহের শুরুতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং শুক্রবারের অনুশীলনে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেনি তারা। কোচ দিদিয়ের দেশম জানিয়েছেন, স্কোয়াডে ভাইরাসটির ছড়িয়ে যাওয়া রুখতে সতর্কতা অবলম্বন করছে ফরাসিরা। খেলোয়াড়রা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণও খুঁজে বের করেছেন ফরাসি কোচ। মরক্কোর বিপক্ষে জেতার পর দেশম বলেন, ‘দোহায় তাপমাত্রা কিছুটা কমে গেছে। এয়ার কন্ডিশনিং আছে, যা সব সময় চলছে।’
এদিকে ১৮ বছরের বর্ণিল ক্যারিয়ারে ৩৭টি ক্লাব শিরোপা, সাতবার ব্যালন ডি’অর খেতাব এবং ছয়বার ইউরোপীয় গোল্ডেন বুট জয় ছাড়াও একবার কোপা আমেরিকা শিরোপা এবং অলিম্পিকের স্বর্ণ পদকসহ আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসির যে গোলের পরিসংখ্যান, সে রেকর্ড কখনো ভাঙ্গার নয়। রোববার শিরোপা জয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের সর্বশেষ সফলতার পলকটি যুক্ত করতে চান মেসি। ইতোমধ্যে নিজের ক্যারিয়ারে অসাধারণ অর্জন মেসিকে পৌঁছে দিয়েছে পেলে, দিয়াগো ম্যারাডোনা, আলফ্রেডো ডি স্টেফানো ও জোহান ক্রুইফদের কাতারে।
মেসির নজরকাড়া দক্ষতায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৩-০ গোলে জয়লাভের পর আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেছিলেন, ‘এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই: সে ইতিহাসের সেরা।’