ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করার পর ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ দল। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত শুরু করেছে টাইগাররা। শ্বাসরুদ্ধকর প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারিয়েছে লিটন বাহিনী। এদিন দ্রুত ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হয়েছে শেখ মাহেদী।
রোববার (১৬ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে ১৪০ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এতে ৭ রানের জয় পায় টাইগাররা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ক্যারিবিয়ানদের। মাত্র ১ রান করে আউট হন ব্যান্ডন কিং। এরপর স্বাগতিকদের বিপাকে ফেলেন শেখ মাহেদী। নিকোলাস পুরান (১), জনসন চালর্স (২০), অ্যান্দ্রে ফ্লেচার (০) এবং রস্টোন চেজকে ৭ রানে আউট করে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলেন মাহেদী।
এরপর মুদাকেশ মতি ৬ রান করে আউট হলে দলীয় ৫৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন রভম্যান পাওয়েল। ১৫তম ওভারে তাসকিনের বলে ৩ ছক্কা মারার ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।
অপর প্রান্ত থেকে ১৭ বলে ২২ রান করে দলকে জয়ে পথে এগিয়ে দেন রোমারিও শেফার্ড। শেষ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ রান। তৃতীয় বলে পাওয়েল ক্যাচ আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পঞ্চম বলে আলজারি জোসেফ বোল্ড আউট হলে ১৪০ রানে অলআউট হয় ক্যারিবিয়ানরা। এতে ৭ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন শেখ মাহেদী। এ ছাড়াও তাসকিন আহমেদ এবং হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট শিকার করেন। আর তানজিম সাকিব ও রিশাদ নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। ১১ বলে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। পরের বলে ডাক আউট হন লিটন দাস। এরপর ৮ রান করে আফিফ আউট হলে দলীয় ৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন সৌম্য সরকার। তাকে সঙ্গ দেন জাকের আলী। ২৭ বলে ২৭ রান করে জাকের আউট হলে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি সৌম্য। ৩২ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহেদী হাসান ও শামীম পাটোয়ারী।শেষ পর্যন্ত মাহেদীর ২৬ রান এবং শামীমের ১৩ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে ১৪৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন ওবেদ ম্যাকয় ও আখিল হোসেন। এ ছাড়াও রোমারিও শেফার্ড ও রোস্টন চেজ একটি করে উইকেট শিকার করেন।