বল হাতে ইতিহাস গড়ে ঢাকা ক্যাপিটালসকে চমকে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। ক্রিকেট ইতিহাসের ৩য় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট নিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলেন ঢাকাকে। ব্যাটিংয়ে দায়িত্ব পালন করেন এনামুল হক বিজয়। তাসকিনের ইতিহাস গড়া বোলিং ও বিজয়ের দায়িত্বশীলতায় বিপিএলের পঞ্চম ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে দুর্বার রাজশাহী।একদিনের বিরতি দিয়ে মাঠে গড়িয়েছে বিপিএল। দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে সাত উইকেটে হারিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল। দুদলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে হার দেখেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়ে রাজশাহী খুলল পয়েন্টের খাতা। তবে, টানা দুই হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে আছে ঢালিউড সুপার স্টার শাকিব খানের দল।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭৪ রান তোলে ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দুর্বার রাজশাহী। রান তাড়ায় নেমে যদিও শুরুটা ঢাকার মতোই নড়বড়ে করে রাজশাহী। দলীয় ১৩ রানেই হারায় ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকে। আরেক ওপেনার জিসান আলম তো ৮ বল মোকাবিলা করেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। দলের চাপ বাড়িয়ে তিনিও ফেরেন শূন্যতে।এই চাপের মুখে দলকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। ওয়ানডাউনে নেমে প্রথমে ইয়াসির আলি ও পরে রায়ান বার্লকে নিয়ে ব্যাটিংয়ের সুর বেধে দেন অধিনায়ক। ২২ রান করে মাঝপথে ইয়াসির ফিরলে বার্লকে নিয়ে বাকি পথ টানেন বিজয়।দলকে জেতানোর পথে ৪৬ বলে ৭৩ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন বিজয়। তার সঙ্গে বার্ল খেলেন ৫৫ রানের আরেকটি কার্যকারী ইনিংস।
এর আগে ঢাকার হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন শাহাদাত হোসেন দিপু। আর বল হাতে রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় ৭ উইকেট নেন পেসার তাসকিন আহমেদ। যা বিপিএলের ইতিহাস সেরা বোলিং ফিগার।
আজ দিনের শুরুতে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার। দলীয় ৫ রানের মাথায় ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। ৫ বল খেললেও রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। এরপর আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমও বিদায় নেন দ্রুতই। দলীয় ১৪ রানের মাথায় ফেরেন এই বাঁহাতি ওপেনার। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা। তবে, স্টিফেন ইসকিনাজি ও শাহাদাত হোসেন দিপুর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি।
এই দুজন মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। দলীয় ৯৩ রানের মাথায় ইসকিনাজির বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় ঢাকা। ২৯ বলে ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। আর দিপু করেন ৪১ বলে ৫০ রান। এই দুইজনের ব্যাটে চড়ে ভালো সংগ্রহের ভিত গড়ে ঢাকা। পরবর্তীতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা। তাসকিনের দাপুটে বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১৭৪ রানে থামে দলটি। কিন্তু বিজয় ও বার্লের দিনে এই রানও যথেষ্ট হয়নি ঢাকা ক্যাপিটালসের।