মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫

রাজধানীতে সাত মিনিটে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি

রাজধানীতে সাত মিনিটে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার সীমান্ত স্কয়ার শপিং মলের একটি স্বর্ণের দোকানে দিন-দুপুরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ৭ মিনিটে দোকানের ভেতর থেকে প্রায় ১৫৯ ভরি স্বর্ণ নিয়ে বেরিয়ে গেলেন চোর চক্রের সদস্যরা।

গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে সীমান্ত স্কয়ার বিপণিবিতানের ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্স স্বর্ণের দোকানে এমন দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। বিপণিবিতানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চুরির এই দৃশ্য ধরা পড়ে। পরে এ ঘটনায় দোকানের মালিক কাজী আকাশ বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।

জানা যায়, গ্রাউন্ড ফ্লোরে ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্সের শাটার নামিয়ে তালা দিয়ে নামাজে যান বিক্রয়কর্মীরা। এর কিছুক্ষণের মধ্যে দোকানের সামনে আসেন ৯ জন যুবক। তাদের মধ্যে দুজন ছাড়া সবার মুখে ছিল মাস্ক। এরপর একজন একটি চাদর মেলে ধরে দোকানের শাটার ঢেকে ফেলেন। আর তখন ২ জন সদস্য চাদরের পেছন দিকে গিয়ে শাটারের তালা কাটেন ও ভেতরে একজন ঢোকেন। বাকি ৮ জন আশপাশের দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র কেনার নামে সেসব দোকানের বিক্রয়কর্মীদের ব্যস্ত করে রাখেন। ৭ মিনিট ২৫ সেকেন্ড পরে দোকানের ভেতর থেকে প্রায় ১৫৯ ভরি স্বর্ণ নিয়ে বেরিয়ে গেলেন চোর চক্রের সদস্য। পরে একে একে বেরিয়ে গেলেন চক্রের বাকি সদস্যরাও।

পুলিশ বলছে, দোকান ও মার্কেটের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বেলা ১টা ১ মিনিটের দিকে নয়জন লোক দোকানের সামনে ঘুরাফেরা করছেন। এর সাত মিনিট পর ব্যাগে ভরে স্বর্ণ নিয়ে বেরিয়ে যান। তাদের দুজন বাদে সবার মুখে মাস্ক ছিল। চুরির সঙ্গে বিপণিবিতানের ভেতরের কেউ জড়িত কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সীমান্ত স্কয়ারে স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের তিনটি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্স নিচতলায়। এর আশপাশে কাপড় ও প্রসাধনীর দোকান রয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রেতা কম ছিল। ক্রেতার বেশে চোর চক্রের সদস্যরা বিপণিবিতানে ঢোকেন।

দোকানের মালিক কাজী আকাশ বলেন, দোকানের শাটারে একটি তালা মেরে জুম্মার নামাজে যায় বিক্রয়কর্মীরা। এই সুযোগে তালা কেটে ভেতরে ঢুকে দোকানে সব স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায় তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকার ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলীম বলেন, স্বর্ণের দোকানে চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন