বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

এইচএমপিভি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা

এইচএমপিভি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা

চীন-জাপানে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়া-ভারতেও এইচএমপিভি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাতটি সচেতনতামূলক নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।বুধবার (৮ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনাগুলোর কথা জানান।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।

২. হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।

৩. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।

৪. আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

৫. ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।

৭. জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজনে কাছের হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে আছেন। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যেও উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন