শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫

বাণিজ্যমেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শন

বাণিজ্যমেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শন

পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় এসএমই ফাউন্ডেশনের প্যাভিলিয়নে ১১ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা তাদের পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ পেয়েছেন। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, সিরামিক্স, তাঁত, কৃষি ও হস্তশিল্প পণ্য।

গত ১ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করা হয়। এরপর প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক নাজিম হাসান সাত্তার ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

এবারের বাণিজ্যমেলায় সাতটি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন অংশ নিয়েছে। মাসব্যাপী মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।

উদ্যোক্তাদের বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে শতভাগ দেশি পণ্য নিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশন নিয়মিত জাতীয় ও আঞ্চলিক/বিভাগীয় পণ্যমেলার আয়োজন করে। এ পর্যন্ত ১১টি জাতীয়, ৮৯টি আঞ্চলিক/বিভাগীয় এসএমই পণ্যমেলা, চারটি হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল, এসএমই উদ্যোক্তাদের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলাসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় তাদের উৎপাদিত পণ্যসহ অংশগ্রহণে সহযোগিতা করে ফাউন্ডেশন। উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে সফল উদ্যোক্তাদের জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার দেওয়া হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, দেশে ৭৮ লাখের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ৯৯ শতাংশের বেশি। শিল্পখাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এসএমই খাতে।

এই খাতে প্রায় আড়াই কোটিরও বেশি জনবল কর্মরত। অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এমএসএমই একটি শ্রমনিবিড় ও স্বল্পপুঁজিনির্ভর খাত।

উৎপাদন সময়কাল স্বল্প হওয়ায় জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এমএসএমইর অবদান অনেক। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও সিএমএসএমই খাতের বিকাশ ও উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন