২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখা সহজ হয়। স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘হেলথলাইন’— এর তথ্য, কুসুম গরম পানি শরীরের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা দেয়। ফলে মানসিক চাপ কমে। মেজাজ শিথিলকারণের মাত্রা উন্নত করে কুসুম গরম পানি। ইতিবাচক আবেগ অনুভূতি বাড়ায় কুসুম গরম পানি।
কুসুম গরম পানি পান করার আরও উপকরিতা রয়েছে—
হজমের সমস্যা দূর হয়: শরীরে আর্দ্রতা কমে গেলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে। হজমজনিত সমস্যাও বিশেষ দেখা দেয় না।
ঘুম ভালো হয়: কুসুম গরম পানি পান করার ফলে শরীর ও মন ফুরফুরে থাকে। এতে শারীরিক উদ্দীপনা বাড়ে। ঘুম উন্নত হয়।
রক্ত চলাচল ভালো থাকে: শীতে মাঝেমাঝেই পেশিতে টান ধরে। এতে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। যারা নিয়মিত কুসুম গরম পানি পান করেন তাদের এই ধরনের সমস্যা কম হয়। কুসুম গরম পানি শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখে। শরীরে জমে থাকা বর্জ্যপদার্থ বাইরে বেরিয়ে যায় সহজেই।
ত্বক সুস্থ থাকে: ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সহায়তা দেয় কুসুম গরম পানি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন। এতে ত্বক টান টান থাকবে এবং ত্বকের সুস্থতা বজায় থাকবে।
সর্দি-কাশি দূরে থাকে: শীতকালে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। হাঁচি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিয়ম করে খালিপেটে কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন।
উল্লেখ্য, অত্যধিক গরম পানি পান করবেন না। অতিরিক্ত গরম পানি আপনার খাদ্যনালীর টিস্যুর ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া স্বাদের অনুভূতি হারাতে পারেন, জিহ্বা চুলকাতে পারে।