দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান সংসদ সদস্যদের সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান প্রতিমন্ত্রীসহ ৭২ জন বাদ পড়েছেন। সব মিলিয়ে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে ২৯৮টি। কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। এই আসন দুটিতে বর্তমানে সংসদ সদস্য যথাক্রমে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাতীয় পার্টির নেতা সেলিম ওসমান।
গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও জোটবদ্ধ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত থাকলেও গত নির্বাচনে শরিকদের ছেড়ে দেয়া আসনেও দলটি প্রার্থী দিয়েছে। অবশ্য ভাগাভাগি এবং অন্য দলের সঙ্গে সমঝোতা হলে সেই সিদ্ধান্ত পরে হবে, সেই ঘোষণা আগেই ছিল। রোববার বিকেল ৪টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে গতবারের মতোই দেয়া হয়েছে গোপালগঞ্জ-৩ আসন, নোয়াখালী-৫ আসনে থাকছেন ওবায়দুল কাদের। আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটকে সামনে রেখে গত ১৮ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিন মনোনয়নে আগ্রহীদের কাছে ফরম বিক্রি করে ক্ষমতাসীন দল। ৩০০টি আসনের বিপরীতে ফরম সংগ্রহ করেন ৩ হাজার ৩৬২ জন নেতা।
এরপর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড বিভাগ ধরে সেসব ফরম থেকে প্রার্থী বাছাই করে। কাকে কাকে প্রার্থী করা হচ্ছে, এ বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখে ক্ষমতাসীন দল।
দলের সদস্যদের পাশাপাশি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও তিনটি, চিত্রনায়ক ফেরদৌস দুটি এবং চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, সামসুন্নাহার সিমলা একটি করে আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দেন।
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে মাগুরা-১, চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে ঢাকা-১০ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন মাহি। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা দ্বিতীয়বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন।
২০১৮ সালে নির্বাচিত যারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩), সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান (জামালপুর-৪), সাবেক পুলিশ প্রধান নুর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ-২), এনামুল হক (রাজশাহী-৪), হাজী মোহাম্মদ সেলিম (ঢাকা-৭), সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর (চাঁদপুর-১)।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় উপনির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী করা শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনকেও মনোনয়ন দেয়া হয়নি। ২০০৮ সাল থেকেই আওয়ামী লীগ জোটভিত্তিক নির্বাচন করে আসছে। এখন পর্যন্ত তিনটি নির্বাচনের দুটিতে আওয়ামী লীগের মোর্চার নাম ছিল ‘মহাজোট’, যাতে জাতীয় পার্টিও ছিল।