আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার ঘটনায় আপিল বিভাগে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালত তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছে।
আদেনকারীদের আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ৭ এপ্রিল আপিল বিভাগ এক রায়ে ছয় জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার পদে পদোন্নতি দেয়ার নির্দেশ দেয়। এরা হলেন মো. গিয়াস উদ্দিন, ইকবাল কবির চৌধুরী, মো. আনোয়ারুজ্জামান, মনির আহমেদ, মো. বজলুর রশিদ আকন্দ ও মো. নুরুননবী ভূঁইয়া।
এ ছয় কর্মকর্তা ২০০৮ সালে জেল সুপারের চলতি দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮৪ সালের নিয়োগবিধি অনুসারে পদোন্নতির জন্য ২০১৬ সালে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে তা নাকচ হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে তাদের পক্ষে রায় হয়।
এর বিরুদ্ধে সরকার আপিল ট্রাইব্যুনালে গেলে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়। এর বিরুদ্ধে এ ছয় কর্মকর্তা আপিল বিভাগে আপিল করলে ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল খারিজ হয়। আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ছয় কর্মকর্তা ২০১৯ সালে ছয়টি রিভিউ আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ গত বছরের ২২ এপ্রিল তাদের ওই ছয় কর্মকর্তাকে ভুতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার করার নির্দেশ দেয়। দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলেও রায় বাস্তবায়ন না করায় সুরক্ষা বিভাগের সচিব ও আইজি প্রিজন্সের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন ওই পাঁচ কর্মকর্তা।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ নভেম্বর পদোন্নতির রায় বাস্তবায়নের জন্য বিবাদীদের দুই সপ্তাহ সময় দেয় আপিল বিভাগ। কিন্তু ২০ নভেম্বরও আদেশ বাস্তবায়ন না করায় তাদের আদালতে তলব করা হয়।