বিতর্কিত নির্বাচনের জন্য সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাতী দল (বিএনপি)।
শনিবার (২১ জুন) দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন যে, রোববার (২২ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
তিনি জানান, রোববার সকালে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পৌঁছে দেবেন দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে সালাহউদ্দিন শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একতরফা জাতীয় নির্বাচনের অন্যতম আয়োজক ছিলেন তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে ভোটগ্রহণ ছাড়াই আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।
এরপর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপি অংশ নিলেও নির্বাচনের আগের রাতেই ব্যালটে সিল মারা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয়ী হয়। ওই সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন কে এম নুরুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনার ছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং মাহবুব তালুকদার (বর্তমানে প্রয়াত)।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যকার প্রতিযোগিতা ‘আমি-ডামি ভোট’ হিসেবে পরিচিতি পায়। এ নির্বাচনের আয়োজন করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন, যার কার্যক্রম নিয়ে শুরু থেকেই তীব্র বিতর্ক ছিল। ভোটগ্রহণ শেষে ভোটের হার নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা দেয়। বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানানো হলেও এক ঘণ্টার ব্যবধানে তা ৪০ শতাংশে উন্নীত হয়। সিইসি প্রথমে ২৮ শতাংশ বললেও পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশ বলেন।
 
                         নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম
নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম






 
                                













