দুই উইকেট হাতে নিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। শেষ দুই উইকেটে বাংলাদেশ লড়াই করেছে বেশ। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। ২৫০ রানও তোলা হয়নি। অলআউট হয়েছে ২৪৭ রান করেই।
দিনের শুরুতে বাংলাদেশের আশা ছিল নিদেনপক্ষে ২৭০-২৮০ রানের। ওপেনার সাদমান ইসলাম আগের দিন শেষে এমনটাই বলে গিয়েছিলেন। এই রান তুলতে পারলে কলম্বোর এই উইকেটে বেশ লড়াকু পুঁজিই হতে পারত। তবে তা করতে হলে আগে ২৫০ তো তুলতে হতো, সেটা হয়নি দলের। তার তিন রান আগেই অলআউট হলো সফরকারীরা।
আগের দিনের বৃষ্টিতে খেলা হয়েছে ১৯ ওভার কম। সে ক্ষতি কিছুটা পুশিয়ে নিতে আজ খেলা শুরু হয় ১৫ মিনিট আগে। দিনের শুরুতে বাংলাদেশকে দারুণ আশাই দেখিয়েছিলেন তাইজুল। তৃতীয় বলে মেরেছিলেন দৃষ্টিনন্দন এক চার। এরপর থেকে রান উঠেছে আর মোটে ৪টি।
এরপরই এবাদত বিদায় নিলেন। আসিথা ফার্নান্দোর ডেলিভারিটা নিচু হয়ে লাগে তার প্যাডে। তাতে রীতিমতো উদযাপনই শুরু করে দেন লঙ্কান বোলার। শেষে আপিল করতে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
তিনটি রিভিউ ছিল বাংলাদেশের। যা কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন এবাদত হোসেন। রিভিউতে দেখা যায় বল পড়েছে অফ স্টাম্পের বাইরে, ইমপ্যাক্ট হয়েছে স্টাম্পের লাইনে, এরপর তা গেছে স্টাম্পে। তিনটি লাল সিগন্যাল মানে আউট, রিভিউটাও হারায় বাংলাদেশ।
২২৯ রানে বাংলাদেশ খুইয়ে বসে তাদের নবম উইকেট। এরপর রান তোলার দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নেন তাইজুল। দারুণ তিনটি চার মেরে বাংলাদেশকে আশা দেখিয়েছিলেন তিনি।
নতুন বল নেওয়ার সময় চলে আসছিল একটু একটু করে। ৮০তম ওভারে তাই একটু তাড়াহুড়ো করেই ২৫০ ছুঁতে চেয়েছিলেন তাইজুল। সোনাল দিনুশার ডেলিভারিটাকে তুলে মারতে চেয়েছিলেন লং অনের ওপর দিয়ে। তবে তা হয়নি। অনেকটা সামনে দৌড়ে এসে ক্যাচটা নেন সোনাল দিনুশা। তাইজুল তাই আউট হন ৩৩ রানে। বাংলাদেশ ২৪৭ রানে শেষ করে তাদের ইনিংস।
                        
ডেস্ক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম






                                

















