শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

রাবি মেডিকেলের নাম ‌‘নাপা সেন্টার’ দিলেন শিক্ষার্থীরা

রাবি মেডিকেলের নাম ‌‘নাপা সেন্টার’ দিলেন শিক্ষার্থীরা

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৌমিতা বিশ্বাসের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর চিকিৎসা কেন্দ্রের অব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের নাম পরিবর্তন করে ‌‘নাপা সেন্টার’ লিখে ব্যানার টাঙিয়ে দেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং মিছিল নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে যান।

এ সময় বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তন্দ্রা বলেন, মৌমিতার মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা মনে করি প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা সেবার অভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে। মেডিকেল সেন্টারে গেলে চিকিৎসক পাওয়া যায় না, সেবাও খুব সীমিত। প্রশাসন যদি আমাদের চিকিৎসাসহ সবে মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে পারত, তাহলে আজ হয়তো মৌমিতার মৃত্যু হতো না।

তিনি আরও বলেন, বড় বড় হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা হচ্ছে, অথচ শিক্ষার্থীদের কাজে তা আসছে না। মৌমিতার মৃত্যুর দায় প্রশাসনকে নিতে হবে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং হলে ও ক্যাম্পাসে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

একই বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ নাঈম বলেন, জ্বর নিয়ে মৌমিতা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে গিয়েছিলেন, চিকিৎসা না পেয়ে কুষ্টিয়ায় নেওয়া হয়। তখনই জানা যায়, তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এই মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, এটা দায়িত্বহীনতার ফল। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা সেবায় শৃঙ্খলা ফিরুক, মশা নিধনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হোক এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হোক।

ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম বলেন, মৌমিতার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মশা নিধন ও মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চিকিৎসকরা যেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালোভাবে ব্যাবহার করে ও ভালো মানের চিকিৎসা দেয়, সেই ব্যাবস্থা করা হবে। 

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দেওয়া স্মারকলিপির দাবিগুলো নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।


সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ