টানা তিন জয়ে সবার আগে গ্লোবাল সুপার লিগ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল রংপুর রাইডার্স। টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর ছিল অপ্রতিরোধ্য। শিরোপা ধরে রাখতে পারবে এমন বিশ্বাসে তারা ছিল চনমনে।
কিন্তু ফাইনালে স্বাগতিক গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে তারা পেরে উঠল না। দারুণ প্রতিশোধ নিয়ে গায়ানা তাদেরকে ফাইনাল ম্যাচে হারিয়েছে। ৩২ রানের জয়ে গায়ানা জিতেছে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরের শিরোপা।
কোনো ম্যাচ না হেরে ফাইনালে যাওয়া রংপুর টুর্নামেন্টের শেষ দিনে বাজে সময় কাটাল। রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা দলটিকে। আগে ব্যাটিং করে গায়ানা ৪ উইকেটে ১৯৬ রান করে। জবাবে রংপুর গুটিয়ে যায় ১৬৪ রানে।
গায়ানার জয়ের নায়ক রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আফগানিস্তানের এই ক্রিকেটার ৩৮ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রান করেন। এর আগে ওপেনার জনসন চার্লস ৪৮ বলে ৬৭ রান করেন ১১ চার ও ১ ছক্কা। মূলত এই দুই ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ইনিংসে রংপুরের বোলিং এলোমেলো হয়ে যায়।
শেষ দিকে শেরফেন রাদারফোর্ড ১৫ বলে ১৯ এবং রোমারিও শেফার্ড ৯ বলে ২৮ রান করলে দুইশর কাছাকাছি পুঁজি পায় গায়ানা। রংপুরের বোলিং এদিন যুৎসই হয়নি। ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে কামরুল ইসলাম ছিলেন উইকেটশূন্য। আজমতউল্লাহ উমারজাই ৩ ওভারে দেন ৩৬ রান। খালেদ ৪৪ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় রংপুর। সৌম্য সরকার ১৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন। ইব্রাহিম জাদরান ৪ বলে করেন ৫ রান। তাদের ভরসা কাইল মায়ার্সও জ্বলে উঠতে পারেননি। ১০ বলে করেন মাত্র ৫ রান।
চারে ও পাঁচে নামা সাইফ ও ইফতেখার দলের হাল ধরেন। দুজনের ব্যাটে জয়ের আশা জেগে ছিল রংপুরের। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে সাইফ রান আউট হলে ভেঙে যায় তাদের লড়াই।
২৬ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় সাইফ ৪১ রান করেন। ইফতেখারের ব্যাট থেকে ২৯ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় আসে ৪৬ রান। পরের দুই ব্যাটসম্যান উমারজাই (৩) ও সোহান (৫) জ্বলে উঠতে পারেননি। এরপর অঙ্কনের ১৭ বলে ৩০ রানের ঝড়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় রংপুর।
গায়ানার হয়ে ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন প্রিটোরিয়াস। ২ উইকেট পেয়েছেন গোদাকেশ মোতি।