ঢাকার তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের কথা জানিয়েছে পুলিশ। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করলেও দ্রুত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। বৃহস্পতিবার ঢাকার মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে নাশকতার পর ডিবি ছায়া তদন্ত শুরু করে। এই তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি নাশকতাকারীদের তথ্য জানতে পারে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে, ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
জড়িতদের কোনোভাবেই ‘ছাড় দেয়া হবে না’ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অনেকের নাম পেয়েছি, আশা করছি তারা দ্রুতই গ্রেপ্তার হবে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে। জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে মঙ্গলবার বিএনপির ডাকা হরতালের সকালে নেত্রকোণা থেকে এসে ঢাকায় ঢোকার পথে অগ্নি নাশকতার শিকার হয় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। তেজগাঁও স্টেশনে এসে থামা ট্রেনটির তিনটি বগি ভস্মিভূত হয়। একটি বগি থেকে উদ্ধার করা হয় মা ও শিশুসহ চারজনের লাশ।
ঘটনাটিকে ‘রীতিমত দুর্বৃত্তায়ন’ অ্যাখ্যা দিয়ে হারুন বলেন, ট্রেনে আগুন লাগানো রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি হতে পারে না।
যারা এ কাজটি করেছে তারা ২৮ তারিখের পর থেকেই জাতীয় নির্বাচনকে ভণ্ডুল এবং সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করতে এই নারকীয় কাজটি করেছে।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার বিএনপির সমাবেশের দিনে সংঘর্ষের পর থেকেই হরতাল-অবরোধের ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়ে আসছে দলটি। কর্মসূচি চলাকালে সড়কপথের যানবাহনের পাশাপাশি ট্রেনের লাইন তুলে বা কেটে ফেলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটছে। নাশকতার বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন বলেন, এর মধ্য কেউ কেউ আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন। তারাই এখন নতুন করে ট্রেনে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মানুষকে হত্যা করছে।
নাশকতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভাড়াটিয়া হিসেবে হোক আর টাকার লোভে হোক, যারা এই কাজ করছে তাদের কারও ছাড় নেই। কোনো বড় ভাইয়ের নির্দেশে এই কাজটি করা মোটেও ঠিক নয়। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। নাশকতাকারীদের নাম-নম্বর পরিচয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ।