চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার গত ১৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হওয়ায় রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছে। শুধু ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেই ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতার পুনঃনিরীক্ষণ চেয়েছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
গত ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন গ্রহণ করা হয়। বোর্ড সূত্র জানায়, ফল প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশের নিয়ম থাকায় আগামী ১০ আগস্টের মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।
ফল পরিবর্তন হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। পাশাপাশি সংশোধিত ফলাফল পাওয়া যাবে বোর্ডের ওয়েবসাইটেও।
চলতি বছর আবেদনকারীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২১ হাজার ৮২৯ জন বেশি, আর চ্যালেঞ্জ হওয়া খাতার সংখ্যা বেড়েছে ৪০ হাজার ১২১টি। সবচেয়ে বেশি খাতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে গণিতে—৪২ হাজার ৯৩৬টি। এরপর ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৯ হাজার ৬৮৮টি করে, পদার্থবিজ্ঞানে ১৬ হাজার ২৩৩টি এবং বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৩ হাজার ৫৫৮টি খাতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে চারু ও কারুকলা বিষয়ে—মাত্র ৬টি।
বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাতা পুনর্নিরীক্ষণ মানে নতুন করে মূল্যায়ন নয়। বরং চারটি দিক যাচাই করা হয়:
১. প্রতিটি প্রশ্নের নম্বর সঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে কি না,
২. মোট নম্বর সঠিকভাবে গণনা হয়েছে কি না,
৩. নম্বর ওএমআর শিটে সঠিকভাবে উঠেছে কি না,
৪. নম্বর অনুযায়ী বৃত্ত ভরাট ঠিকমতো হয়েছে কি না।
এই চারটি পর্যায়ে কোনো অসঙ্গতি থাকলে তা সংশোধন করে নতুন ফল প্রকাশ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম



















