ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা সোহেল রানা দীর্ঘ অভিনয় জীবনের ইতিটানেন চলতি বছরের শুরুতে। শোবিজ অঙ্গনের বাইরে তাঁর আলাদা পরিচয় তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তবে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় কিংবা মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে অনুতপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতা। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেতা।
আজ রোববার (২৭ জুলাই) সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে অভিনেতা ও পরিচালক সোহলে রানা লেখেন, ‘দুইজনের কাঁধে ভর করে দাঁড়িয়ে আছি। কষ্ট করে টাকা জমা দেওয়ার জন্য বসার জায়গা নেই। ২৫ জন বসার জায়গা হলে ১০০ জন রোগী দাঁড়িয়ে আছে। সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে বা স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন যোদ্ধা হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রের কোনোরকম দাম বা সম্মান কিছুই নেই?’
মুক্তিযোদ্ধা আইডেন্টিটি কার্ড কোনো কাজে আসছে না তাই হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। অভিনেতার কথায়, ‘কেবিন ভাড়া যা ছিল এক বছরের তা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। শান্তিরক্ষাকারী বাহিনীরাও চিকিৎসা শেষে তাদের কাজের জন্য টোটাল বিল থেকে একটা কমিশন পান। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তার কোনোটাই প্রযোজ্য নয়? সার্টিফিকেট এই কি কাজে আসে বা মুক্তিযোদ্ধা আইডেন্টিটি কার্ড কোন কাজে আসে বুঝি না! কোনো অভিযোগ নেই শুধু একটু দীর্ঘ নিঃশ্বাস!’
ওই পোস্টের দশ মিনিট পর আরও একটি পোস্ট দেন সোহেল রানা। তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম ছবি ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক মাসুদ পারভেজ। ধিক তোমাকে ধিক, তোমার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট এবং মুক্তিযোদ্ধা আইডেন্টিটি কার্ডকে।’
এর আগে দেওয়া একটি পোস্টে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘ইলেক্ট্রোলাইট ইম ব্যালেন্স ঠিক হয়নি তাই শরীরের দুর্বলতাও কাটেনি। আপনাদের কাছে দোয়াপ্রার্থী।’
বলে রাখা ভালো, সোহেল রানা নাম ধারণ করে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র ‘মাসুদ রানা’-র একটি গল্প অবলম্বনে ১৯৭৪ সালে ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই সিনেমার মাধ্যমে তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন।