ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল বিএনপি। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি তুলে ধরেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নতুন কর্মসূচির মধ্যে আছে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ।
ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে; নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, বিশ্বে নজিরবিহীন নির্লজ্জ কায়দায় মামুদের নিয়ে প্রকাশ্যে নিজেদের মধ্যে সিট ভাগাভাগি করে এখন ভোট ভোট খেলায় মেতে উঠেছে সরকার। ১৭৪ আসন প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস হলেও ভোট–নাটকের জন্য ধরে রাখা হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার এত কসরত।
রিজভী বলেন, এই নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার ভেতরে–ভেতরে এক্সিট খুঁজছে। ভয়ে–আতঙ্কে প্রলাপ বকছে, খিস্তিখেউড় আর আর্তনাদ করছে। বাংলাদেশের মানুষ এসব বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশে আগামী ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন নাটকের মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে, সেটা কোনো নির্বাচনই নয়। নির্বাচনের যে সংজ্ঞা, তার মধ্যেই এটা পড়ে না। ৩০০ আসনই নৌকার। ৩০০ আসনই শেখ হাসিনার ইচ্ছাধীন। আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে নাটক ও অভিনব তামাশা করছে। ডামি প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিদ্রোহী ও নৌকার প্রার্থী একাকার। ইতিমধ্যে ফলাফল তৈরি হয়ে আছে, ৭ জানুয়ারি শুধু ঘোষণা করা হবে।
রিজভী বলেন, কোন আসনে কোন প্রার্থী কত ভোট পাবেন, তা–ও নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। যে সরকার জনগণের অধিকার রক্ষা করে না, সম্মান দেয় না, তাদের সব কর্মকাণ্ডে অসহযোগিতা এবং ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাস্তা উন্মুক্ত করতে হবে।