জুলাই আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অভিযোগে শাস্তিপ্রাপ্ত ১৮১ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম প্রকাশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান সই করা এক অফিস আদেশে শাস্তিপ্রাপ্ত ১৮১ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এতে জানানো হয়, গত বছরের ১৪ জুলাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ও ১৫ জুলাই ১০ নং (ছাত্র) হলের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। একই দিন রাতে ভিসির বাসভবনে আশ্রয়প্রার্থী আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সেখানে অবস্থানরত শিক্ষকদের ওপর পেট্রোলবোমা এবং অস্ত্রসহ বহিরাগতদের নিয়ে হামলা করা হয়। এরপর ১৭ জুলাই প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এসব বিষয়ে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিরতরে বহিষ্কার করা হয় ৬৪ জনকে, দুই বছরের জন্য বহিষ্কার হন ৩৭ জন, ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার একজন, দুই বছরের জন্য সনদ স্থগিত করা হয় ৬ জনের এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বাতিল করা হয় ৭৩ জনের।
আজীবন বহিষ্কারপ্রাপ্তরা হলেন:
দর্শন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের বখতিয়ার আহমেদ, ৪৮তম ব্যাচের শান্ত চন্দ্র শীল, একই ব্যাচের মিয়া মো. মাশরিকুল করিম, মোবাশ্বিরুজ্জামান, নয়ন সাহা, লোক প্রশাসন ৫০তম ব্যাচের নাজমুল হক অনিব, ৪৭তম ব্যাচের আল হেলাল, ৫০তম ব্যাচের মো. মিরাজুল ইসলাম শাওন, ৪৭তম ব্যাচের সজিব হোসেন ভূঁইয়া, ইয়া রাফিউ শিকদার, আমিনুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের মোস্তফা ফয়সাল রাফি, মো. জিসান আহমেদ (রনি), ৪৮ কম ব্যাচের তানজিম সাকিব অনিক, ৪৯তম ব্যাচের মো. আল মামুন, ৪৬তম ব্যাচের জাহিদ হাসান লিমন, আইন ও বিচার বিভাগ ৪৯তম ব্যাচের মো. রাকিবুল ইসলাম, ৪৮তম ব্যাচের সৌরভ চন্দ্র বর্মণ, ৫০তম ব্যাচের আহমেদ কবির হৃদয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের রাতুল হাসান, ইংরেজি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের রানা মিয়া (জুনায়েদ হাসান রানা)।
আজীবন বহিষ্কারপ্রাপ্ত আরও হলেন- ৪৯তম ব্যাচের মাহমুদুল হাসান, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের মো. শরীফ মিয়া, ৪৭তম ব্যাচের রিজওয়ান রাশেদ সোয়ান, তামীম হোসেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের মো. জাহিদ হাসান প্রধান, ৪৯তম ব্যাচের আলি হোসেন শিমুল, ৫০তম ব্যাচের ড্যানিশ শুভ টপ্য, ৫১তম ব্যাচের প্রান্ত বিশ্বাস, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শরিফুল ইসলাম সোহান, ৪৭তম ব্যাচের এম আবির হাসান, আওলাদ মিয়া, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের মো. মাবরুক আল ইসলাম জোয়াদ, মা. আরফিন আলম সানি, ৪৮তম ব্যাচের শাহরিয়ার ইমন শুভ, মাহফুজুল হাসান নয়ন, মো. মিনহাজুল ইসলাম (মিনহাজ, ৪৯তম ব্যাচের ইমাম মাহমুদ রিসান, ৫০তম ব্যাচের জাহিদুল ইসলাম, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের তানভীর আহমেদ, ৪৬তম ব্যাচের ওয়াহিদ তাওসিফ অনিক, বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের অলক কুমার পাল, সামছুল আরেফিন, তুলনামুলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিটের ৪৭তম ব্যাচের মো. রিশাদ হাসান, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের আবু সায়েম মো. নাছির মোস্তাকিম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গণিত বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের মো. রেজাউল করিম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের আরিফ আনজুম কাফি, রসায়ন বিভাগের মো. মিনহাজুল ইসলাম, দেওয়ান সৌরভ মাজাহার, পাবলিক হেলথ্ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের এস. এম. নাহিদ হাসান সজিব, নৃবিজ্ঞান বিভাগ বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের মো. ইমাম উল হাসান তিতাস, ৪৬তম ব্যাচের মাহবুব আলম, একাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া, ৪৬তম ব্যাচের মো. সোহেল রানা, মো. তওহীদুল ইসলাম জিহাদ মো. আইআইটি ৪৮তম ব্যাচের সৈকত রায়হান ভূঁইয়া, মার্কেটিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের মো. জায়েদ, ভূগোল ও পরিবশে ৪৯তম ব্যাচের মোয়াল্লেম হাসনাত, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওয়াসিক আরিফ অমি, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সামসুর রহমান রিফাত।