শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

সংঘাত চাই না, যাকে খুশি ভোট দিন: শেখ হাসিনা

সংঘাত চাই না, যাকে খুশি ভোট দিন: শেখ হাসিনা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সংঘাত চান না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে ভোটের দিন সবাইকে সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যাকে খুশি ভোট দিন, ভোটটা জরুরি।’ বুধবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে দেশের ছয়টি এলাকার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ভোটারদের নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রার্থী আছে। সে সঙ্গে নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমাদেরই স্লোগান—আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। কাজেই আপনাদের মতো ভোট দেবেন, কিন্তু কোনো রকম অনিয়ম ও সংঘাত আমি চাই না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোনো রকম দুর্ঘটনা যেন না হয়, সে সহনশীলতা আপনাদের দেখাতে হবে। নির্বাচনে যার যার ভোট শান্তিমতো দেবে। সে পরিবেশটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই নির্বাচনটা বাংলাদেশের জন্য একান্তভাবে জরুরি। কারণ বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক রকম খেলা অনেকে খেলতে চায়। যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, জয় বাংলা স্লোগান যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, যারা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করে দেয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করে, তারা দেশটাকেই ধ্বংস করবে। এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে।’

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল খালেদা জিয়া, থাকতে পারেনি। ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পতন ঘটে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়। তারপর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ওদের শিক্ষা হয়নি। তাই আবারও ২০০১ সালে ভোট কারচুপি, ভোট চুরি, জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা শুরু করে। তাদের দুঃশাসনের কারণে দেশে ইমার্জেন্সি আসে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনে আমি যখন গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হইনি, তখন ষড়যন্ত্রের শিকার হই। ক্ষমতায় আসতে পারিনি। গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় বিএনপি-জামায়াত জোট আসে। ক্ষমতায় এসেই তারা দুর্নীতি, লুটপাট, জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন শুরু করে। তাদের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে যায়—প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও আরেক দিকে তারেক যে হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলে, ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে। যার ফলে দেশে চরম অরাজকতার সৃষ্টি হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের ভোটটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।’

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন