বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সাদিক জগন্নাথ হলে পেলেন মাত্র ১০ ভোট!

সাদিক জগন্নাথ হলে পেলেন মাত্র ১০ ভোট!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থী সাদিক কায়েম, জিএস পদে এস এম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মহিউদ্দীন খান জয়ী হয়েছেন।

ফলাফল ঘোষিত হলগুলো হলো- জগন্নাথ হল, শহীদুল্লাহ হল, কার্জন হল, ফজলুল হক মুসলিম হল, অমর একুশে হল ও সুফিয়া কামাল হল।

ছয়টি হলের মধ্যে পাঁচটিতে সাদিক কায়েম বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেও জগন্নাথ হলের চিত্র ছিল ভিন্ন। এই কেন্দ্রে সাদিক কায়েম পেয়েছেন মাত্র ১০ ভোট। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ১২৭৬ ভোট। 

সর্বশেষ রাত ৩টা পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) সর্বমোট ৭০৮৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৩০৬৫ ভোট।


যদিও ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ছাত্রদলের সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান লেখেন, ‘পরিকল্পিত কারচুপির এই ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।’


জগন্নাথ হলে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা পেয়েছেন ২৮৭ ভোট, শামিম ১৭১ ভোট এবং বাগছাস প্রার্থী আব্দুল কাদের পেয়েছেন মাত্র ২১ ভোট। এছাড়া ছাত্রঅধিকার পরিষদের বিন ইয়ামিন মোল্লা মাত্র পাঁচ ভোট পেয়েছেন।


এই হলে জিএস পদে এস এম ফরহাদ পেয়েছেন মাত্র পাঁচ ভোট। বাম দল সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু সর্বোচ্চ ১১৭০ ভোট পেয়েছেন। ছাত্রদলের হামিম পেয়েছেন ৩৯৮ ভোট। এছাড়া বাকের (বাগছাস) ২৭, আশিক সাত এবং আরাফাত ১৬৯ ভোট পেয়েছেন।


এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের মহিউদ্দিন পেয়েছেন মাত্র সাত ভোট। ছাত্রদলের মায়েদ পেয়েছেন সর্বোচ্চ ১১০৭ ভোট। ছাত্রশিবিরের মহিউদ্দিন পেয়েছেন মাত্র সাত ভোট। 


রাত পৌনে ২টা থেকে হলগুলোতে পৃথকভাবে ফল ঘোষণা শুরু হয়।


দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হয় মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।


এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে একজন ও এজিএস পদে ৪ জন প্রার্থী ছিলেন।


এবার মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। নির্বাচনে ৮০ শতাংশের বেশি ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।


সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ