শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। থানার ভেতরে সাজাপ্রাপ্ত আসামি লিটন হাওলাদারকে খাট, তোষক, সিগারেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিশেষ সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) তানভীর হোসেন।
জানা গেছে, এক বছর দুই মাস সাজাপ্রাপ্ত আসামি লিটন হাওলাদারকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। এরপর তাকে হাজতে রাখার পরিবর্তে আলাদা কক্ষে খাট, বালিশ-তোষক দিয়ে আরামদায়ক পরিবেশে রাখা হয়। এমনকি তাকে সিগারেট খাওয়ার ও মোবাইলে কথা বলার সুযোগও দেওয়া হয়। গোপনে ধারণ করা সেই মুহূর্তের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ওসি মাকসুদ আলম দাবি করেন, আসামি অসুস্থতার অজুহাত দিলে তাকে বিশেষ কক্ষে রাখা হয়। তবে ভিআইপি সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর হোসেন বলেন, ওসি মাকসুদ আলমকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।