বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে কবে দেশে ফিরবেন তা নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নিউইয়র্কে সফররত মির্জা ফখরুল তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে বলেছেন, ‘যেই মুহূর্তে সব আইনি সমস্যা শেষ হবে, যেই মুহূর্তে আমরা মনে করব রাজনৈতিকভাবে সময় তৈরি হয়েছে, তখনই তারেক রহমান দেশে আসবেন।’
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগকে দণ্ড দেওয়া এবং দল হিসেবে তাদের রাজনীতির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলি, এ ব্যাপারে অনেক কথা বলতে হয়েছে, শুনতে হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আগেও বলেছি, আমাদের চেয়ারম্যান এবং অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান সাহেবও বলেছেন যে, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নই। কিন্তু যদি সেই রাজনৈতিক দল কোনো গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হয়, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে দেয়ার জন্য দায়ী হয়-তাহলে নিশ্চয়ই তাদের শাস্তি পেতে হবে।’
রাজনৈতিক দলকে সফরে এনে ড. ইউনূস এক টেবিলে আলোচনা করতে চাইছেন কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিউইয়র্কে আসার পর ড. ইউনূসের সঙ্গে একটা ইভেন্টে দেখা হয়েছে। তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কোনো কথা হয়নি। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে আসার পর আজই কথা হলো। পাশাপাশি রুম হওয়ায় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে।’
দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই। প্রত্যেক দলের নিজস্ব নীতি রয়েছে। সব সময় একই রকম হবে তা নয়। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক খারাপ হয়নি। দল করতে হলে সবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে।’
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কি না- সে প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবশ্যই নির্বাচন হবে, ফেব্রুয়ারিতেই হবে। তবে যে অবিশ্বাস মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে সে অবিশ্বাস দূর করে বিশ্বাস সৃষ্টির জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে, সেভাবে এগুতে হবে।’
ড. ইউনূসও নির্বাচন করতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে তিনি খুব দৃঢ়চিত্তে সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকের পর, এটা আপনারা নিশ্চিত হয়ে গেছেন। আমার দৃষ্টি থেকে যতটুকু দেখি, রাজনৈতিক দলগুলো জানে যে, নির্বাচন হবে। সেনাবাহিনীর অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও জানে যে, নির্বাচন হবে।’