শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনায় ২৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম জানান, প্রক্টরিয়াল বডি তদন্ত ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৩ জন পরিসংখ্যান বিভাগের, বাকিরা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী; সবাই ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ১৫ ছাত্রীকে র্যাগ করার ঘটনায় পূর্বের শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রীকে শাস্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে কাজী তাসমিয়া হক অরিশাকে ৪ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ফারজানা মেহেরুন নূহ্য, তাসমিয়াহ আলম মাইশা, লামিয়া ইসমাইল জুঁই ও শ্রাবণী দে প্রিয়াকে আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের অন্য র্যাগিংয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে সাখাওয়াত হোসেন ও সাগর হোসেনকে ২ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। শিবরাজ ত্রিপুরা, জুবায়ের আবদুল্লাহ, রিয়াদুস সালেহীন রিয়ান, তন্ময় কর্মকার সাগর, ইয়াজউদ্দিন পাটোয়ারী ও নাফিজ ইমতিয়াজ রোহানকে হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে অথবা হলে ভর্তি না থাকলে ভবিষ্যতে সিট দেওয়া হবে না।
অর্থনীতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ১২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মেসে মানসিক নিপীড়নের অভিযোগে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ফাহিম মুনস্তাসিরকে আজীবন, জুনাইদ মোস্তকিম অয়নকে ৪ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বাকি ১০ শিক্ষার্থীকে ২ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন—প্রীতম সাহা, শরিফুজ্জামান খান আতিফ, সাবিত আবরার তাজিম, অনিক আহমেদ, সুয়েল রানা, যুবায়ের হোসেন তালুকদার জিম, নাঈম মিয়া, বিকাশ চন্দ্র ধর, মিঞা মো. সাইয়্যেদুল বাশার রিফাত ও রাজন সাহা সানি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, “র্যাগিংয়ের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স। নবীন শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ট্রমাটাইজ হয়ে যায় এবং অনেকে একাডেমিকভাবে বিচ্যুত হয়। তাই প্রক্টরিয়াল বডির সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”