শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

এবার পাকিস্তানকে ‘একেবারে মুছে ফেলার হুমকি’ দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান

এবার পাকিস্তানকে ‘একেবারে মুছে ফেলার হুমকি’ দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান

চলতি বছরের এপ্রিলে কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলার জেরে স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ এক সংঘাতে জড়ায় ভারত-পাকিস্তান। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত বলতে গেলে চরম শত্রুভাবাপন্ন এক সম্পর্ক বিরাজ করছে দুদেশের মধ্যে। এরই মধ্যে সৌদি আরবের সঙ্গে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা চুক্তি করে ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে ভারতকে শঙ্কার মধ্যে ফেলে দিয়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে ভারতও চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গে মিলে আলাদা এক বলয় তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

এক কথায়, দুদেশের মধ্যেই ক্ষমতার এক তীব্র প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইদানিং। এ অবস্থায় পাকিস্তানকে এবার প্রচ্ছন্নভাবে ভয়ংকর এক হুমকিই দিয়ে বসেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিয়ে যাচ্ছে দাবি করে স্পষ্টভাবে তিনি বলেছেন, অপারেশন সিঁদুর ১.০-তে আমরা যে সংযম দেখিয়েছিলাম, এবার আর তা বজায় রাখব না। এবার আমরা এমন কিছু করব, যা পাকিস্তানকে ভাবতে বাধ্য করবে যে তারা ভূগোলে নিজেদের স্থান ধরে রাখতে চায় কিনা। যদি পাকিস্তান ভূগোলে নিজেদের স্থান ধরে রাখতে চায়, তবে তাদেরকে অবশ্যই রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষকতায় চলা সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজস্থানের অনুপগড়ে একটি সেনা পোস্টে সৈন্যদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এমনভাবেই হুঁশিয়ারি দেন ভারতের সেনাপ্রধান। খবর এনডিটিভির। 

পাকিস্তানকে হুমকি দিয়ে নিজ সেনাদের উদ্দেশে উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, যদি ঈশ্বর চান, আপনারা শীঘ্রই একটি সুযোগ পাবেন। শুভ কামনা রইল। 

ভারতের বিমানবাহিনী প্রধান এপি সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরই এমন হুঁশিয়ারি এলো সেনাপ্রধানের। এপি সিং দাবি করেছিলেন, মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় বাহিনী মার্কিন এফ-১৬ এবং চীনা জেএফ-১৭ সহ ৪ থেকে ৫টি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভূপতিত করেছিল। 


জেনারেল দ্বিবেদী আরও জানান, অপারেশন সিঁদুরের লক্ষ্য ছিল জঙ্গি আস্তানা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং তাদের মাস্টারমাইন্ডদের নির্মূল করা। ওই অভিযানে ‘কোনো নিরীহ মানুষের ক্ষতি করা হবে না এবং কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হবে না’  বলে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল।  


একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের ধ্বংস হওয়া জঙ্গি আস্তানাগুলোর প্রমাণ বিশ্বের কাছে পেশ করেছিল ভারত, যা না করলে সত্য লুকিয়ে ফেলত পাকিস্তান।


প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল-মে মাসে কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র এক হামলার পর বড় ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। সেই পরিস্থিতিতে মার্কিন চাপের মুখেক ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।


সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ