ঢাকা-আখাউড়া রেলপথে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেনটি গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়েছে। ট্রেনটির দুটি বগির চাকা লাইন থেকে বিচ্যুত হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি উদ্ধার করা গেলেও, এ কারণে রুটের দুটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে আসা ৩৬ নম্বর ডাউন তিতাস কমিউটার ট্রেনটি আখাউড়ায় পৌঁছানোর পর শান্টিং করা হচ্ছিল। রাত সোয়া ১২টার দিকে শান্টিংয়ের সময় ট্রেনটির দুটি বগির চাকা লাইনচ্যুত হয়।
আখাউড়া লোকেশেডে দায়িত্বরত কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজ শুরু করলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিক গতিতে উদ্ধার কাজ করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পর সকাল পৌনে ৬টার দিকে ট্রেনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
লাইনচ্যুতির কারণে রেল চলাচলে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটে। এর ফলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। আখাউড়া থেকে ভোর ৫টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটির যাত্রা বাতিল করা হয়। অপরদিকে ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসার কথা থাকলেও এটির যাত্রা বাতিল করা হয়।
এতে সংশ্লিষ্ট রুটের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
উদ্ধার কাজ এত দীর্ঘ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ট্রেনটি এমন একটি স্থানে দুর্ঘটনায় পড়েছিল যেখানে রিলিফ ট্রেন (উদ্ধারকারী ট্রেন) নিয়ে যাওয়ার মতো লাইন ছিল না। যে কারণে বিকল্প পদ্ধতিতে ট্রেনটি উদ্ধার করতে গিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সময় লেগে যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
 
                         বিশেষ প্রতিনিধি | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম
বিশেষ প্রতিনিধি | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম






 
                                













