সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাবাজার পত্রিকা.কম জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে দলগুলো একমত: আলী রিয়াজ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম এবার ফ্লোটিলা থেকে যে বার্তা দিলেন শহিদুল আলমের সহযাত্রীরা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম হোয়াইটওয়াশের মিশনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে মামলা করবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাবাজার পত্রিকা.কম তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি, নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ভয়াবহ দুর্যোগের কবলে ভারত, বন্ধ দার্জিলিংয়ের সব পর্যটন স্পট বাংলাবাজার পত্রিকা.কম 'ফ্যাসিস্টের দোসর ও পাশের দেশ থেকে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হচ্ছে' বাংলাবাজার পত্রিকা.কম গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ, লন্ডনে গ্রেপ্তার ৫০০ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম এবার দল হিসেবে আ.লীগের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হচ্ছে: চিফ প্রসিকিউটর

দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

ষোল বছর আগের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় খালাস পেয়েছেন। গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক কামরুল হাসান খান এ আদেশ দেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আইনজীবী আলহাজ বোরহান উদ্দিন এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। এদিন সকালে রায় শুনতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

এর আগে দুদক ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৯ অগাস্ট আদালত রায়ের জন্য ২৮ অগাস্ট তারিখ দিয়েছিলেন। এরপরেও রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয় কয়েক দফা।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের তখনকার উপপরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গয়েশ্বর তার সম্পদের বিবরণীতে দুটি বাড়ি দেখিয়েছেন, যার মধ্যে ঢাকার রায়ের বাজারের ছয়তলা বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরাণীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে বানানো বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা দেখান। ব্যয়ের এই পরিমাণ গণপূর্ত বিভাগের হিসাবের চাইতে ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা কম, যাকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করে দদুক। এছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসায় ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, যা তার ঘোষণা ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত।

এজাহারে বলা হয়, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০০৪-২০০৫ সালে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কন্সট্রাকশনের কাছ থেকে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা নেন, যা তার অবৈধ অর্জন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং প্রভাব খাটিয়ে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা।

এসব অর্থ-সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে মামলায় বলা হয়।

তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এস এম মফিদুল ইসলাম । ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।


আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত থেকে গয়েশ্বরকে খালাস দিয়ে এদিন রায় ঘোষণা করা হল।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ