বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। কেবল মধ্যবয়সীরা নয়, কমবয়সী অনেকেও এই সমস্যায় ভুগছেন। চর্বিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া, বেশি চিনি খাওয়া, শরিরচর্চার অভাব ইত্যাদি অভ্যাসে বাড়ে কোলেস্টেরল।
বাড়তি কোলেস্টেরল নিশ্চুপে বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ খেতেই হবে। এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কিছু আয়ুর্বেদিক ভেষজ। তাতেও মিলবে উপকার। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
অর্জুন
বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় অর্জুন গাছের বাকল। এই গাছের পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। এর পাতায় আছে ফ্ল্যাভনয়েড, স্যাপোনিন ও ট্যানিনের মতো যৌগ। এসব উপাদান রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
তুলসি
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চিবিয়ে খেতে পারেন তুলসি। এই ভেষজ পাতা লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং লিভারে জমা অতিরিক্ত ফ্যাট ও টক্সিন শরীর থেকে বাইরে বের করে দেয়। উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগীরা চাইলে তুলসি পাতার চাও খেতে পারেন।
নিমপাতা
নিম কেবল রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় না, এটি কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই পাতায় আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রদাহ কমায়। কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতেও নিমপাতা উপযোগী। লিভারের স্বাস্থ্যও বজায় রাখে এই পাতা। রোজ সকালে নিমপাতার রস খেলে দারুণ উপকার পাবেন। এ ছাড়া নিমপাতা দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার খেতে পারেন।
কারিপাতা
দক্ষিণ ভারতীয় খাবারে কারিপাতা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। এই পাতায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পাশাপাশি দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় কারিপাতা। খাদ্যতালিকায় কারিপাতা রাখলে কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া হজমের গণ্ডগোল থেকে মিলবে মুক্তি।
বেলপাতা
আয়ুর্বেদে বেলপাতার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ডায়জেস্টিভের মতো উপাদান। এমনকী বেলপাতায় ভিটামিন সি-ও রয়েছে। বেলপাতার রস বা স্যুপ খেলে কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্ত প্রতিরোধ করতে পারবেন। এছাড়াও বেলপাতা খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে।