শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

মেসিহীন আর্জেন্টিনার দাপুটে জয়

মেসিহীন আর্জেন্টিনার দাপুটে জয়

মেসি ছিলেন না মাঠে, ছিলেন দর্শক গ্যালারিতে। তবে তার উপস্থিতি যেন তবুও অনুপ্রেরণা ছড়িয়েছে সতীর্থদের মাঝে। আক্রমণের ঝড় তুলে ভেনেজুয়েলাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে ফিফা প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও ভেনেজুয়েলা। ম্যাচজুড়ে ছিল একপেশে দাপট। ৭৭ শতাংশ বলের দখল রেখে আর্জেন্টিনা নেয় ১৭টি শট, যার মধ্যে ৯টি ছিল লক্ষ্যে। একমাত্র গোলটি করেন জিওভান্নি লো সেলসো।

অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা ছিল সম্পূর্ণ নিষ্প্রভ, ৫টি শট নিলেও একটিও ছিল না লক্ষ্যে। গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের দৃঢ়তা ও আর্জেন্টাইন রক্ষণভাগের শৃঙ্খলায় ভেনেজুয়েলান আক্রমণ একাধিকবার থেমে যায় মাঝপথেই। এ নিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে ৫৬ ম্যাচে ৩৯টিতে ক্লিনশিট রাখতে সক্ষম হলেন মার্টিনেজ।

গ্যালারিতে বসে প্রিয় দলকে এমন দাপুটে খেলতে দেখে হাসিমুখে ছিলেন লিওনেল মেসি। পাশে জীবনসঙ্গী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো। গত ২৭ দিনে ইন্টার মায়ামির হয়ে সাতটি ম্যাচ খেলার পর আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে পুরোপুরি বিশ্রাম দিয়েছে কোচ লিওনেল স্কালোনি। বেঞ্চেও রাখা হয়নি তাকে কারণ, তার দরকারই হয়নি।

ম্যাচ শেষে স্কোরলাইনই তা প্রমাণ করেছে মেসিকে ছাড়াই জিতেছে আর্জেন্টিনা। তবে সুযোগ মিস ও ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা চোখে পড়েছে স্পষ্টভাবে।

৩০ মিনিটে ম্যাচে দেখা মেলে ফুটবলের নির্মমতার এক দৃশ্যের, যার সাক্ষী ছিলেন মেসি নিজে। ভেনেজুয়েলার উইঙ্গার গ্লেইকার মেন্দোজার নিখুঁত ক্রস থেকে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন আলেহান্দ্রো মারকুয়েস। তার হেড চলে যায় গ্যালারিতে।

এর পরের মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। দলগত দারুণ এক আক্রমণে লাওতারো মার্টিনেজের পাস থেকে বাঁ পায়ে নিখুঁত শটে গোল করেন লো সেলসো। ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষক পা বাড়িয়েও ঠেকাতে পারেননি বলটিকে।

দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষে এটিই ছিল আর্জেন্টিনার প্রথম প্রীতি ম্যাচ। ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সূচনা বলা চলে এই ম্যাচ থেকেই। মেসি ছাড়া দলের ভারসাম্য কেমন থাকে, কে তার ছায়া পূরণে সক্ষম স্কালোনির জন্য এটিই ছিল বড় পরীক্ষা।

রক্ষণ ও আক্রমণ দুই বিভাগেই আরও শান দিতে হবে এটা বুঝে নিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ। তবে মেসি যখন গ্যালারিতে বসেই হাসিমুখে জয় দেখেন, তখন সেটা বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আত্মবিশ্বাসেরই প্রতিচ্ছবি।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ