চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বিষাক্ত মদ পান করে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার রাতে পাঁচ জনের এবং রোববার রাতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানিয়েছেন।
ওসি বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকায় কয়েকজন মিলে স্পিরিট পান করেন। এরপর শনিবার থেকে একে একে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। রোববার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়।”
মৃতরা হলেন— নফরকান্দি গ্রামের ভ্যান চালক খেদের আলী (৪০), খেজুরা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম (৪০), পিরোজখালি গ্রামের ভ্যান চালক মোহাম্মদ লালটু ওরফে রিপু (৩০), শংকরচন্দ্র গ্রামের শ্রমিক মোহাম্মদ শহীদ (৪৫), ডিঙ্গেদহ গ্রামের মিল শ্রমিক মোহাম্মদ সামির (৫৫) ও এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরি পাড়ার শ্রমিক সরদার মোহাম্মদ লালটু (৫২)।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক একেএম নাসিম উজ জামান বলেন, “সরদার মোহাম্মদ লালটু ‘অ্যালকোহলিক পয়জনিংয়ে’ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জামাল আল নাসের জানান, “এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তারা বিষাক্ত মদ পান করে মারা গেছেন। তবে পরিবারের কেউ বিষয়টি স্বীকার করছে না।”
মৃতদের মধ্যে চার জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আরও তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের অবস্থা গুরুতর।