সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

জ্বর-কাশিতে ভরসা রাখুন কাঁচা হলুদ-গোল মরিচে

জ্বর-কাশিতে ভরসা রাখুন কাঁচা হলুদ-গোল মরিচে

ঠান্ডা লাগা কিংবা জ্বরে ভোগে খুব স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সমস্যা। কিন্তু কিছু মানুষ যেন একটু বেশিই জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভোগেন। ঋতু বদলের এ সময়ে অনেকেই ভুগছেন এমন সমস্যায়। যদি ঘন ঘন ঠান্ডা-কাশিতে ভোগেন তাহলে বুঝে নেবেন আপনার ইমিউনিটি সিস্টেম একদম দুর্বল। অর্থাৎ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। 

ইমিউনিটি বাড়াতে ভরসা রাখতে পারেন পরিচিত দুটি ভেষজে। এগুলো হলো কাঁচা হলুদ আর গোলমরিচ। অনেকেই খালিপেটে কাঁচা হলুদ খেয়ে থাকেন। এতে হজমের সমস্যা মেটে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। রাতেও অনেকে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খান। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলুদের সঙ্গে খেতে হবে গোলমরিচও। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাঁচা হলুদ আর গোলমরিচ যেভাবে কাজ করে 

ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাঁচা হলুদ এবং গোলমরিচ একটি শক্তিশালী যুগল হিসেবে কাজ করে। হলুদে আছে সক্রিয় যৌগ কারকিউমিন আর গোলমরিচে আছে পাইপেরিন। কারকিউমিন হলো একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান, যা শরীরের কোষগুলোকে ফ্রি-র‍্যাডিক্যালসের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমায়। ফলে শরীরের সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

কিন্তু কারকিউমিন সহজে রক্তে শোষিত হয় না। এখানেই ভূমিকা রাখে গোলমরিচ। এতে থাকা পাইপেরিন নামক যৌগটি কারকিউমিনকে শরীর দ্বারা শোষণ করার ক্ষমতা প্রায় ২০০০ গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

কাঁচা হলুদ ও গোলমরিচ একসঙ্গে খেলে কারকিউমিনের সব রোগ-প্রতিরোধক গুণ শরীর সর্বোচ্চ পরিমাণে ব্যবহার করতে পারে। এই যুগল ভেষজ উপাদান সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বহু গুণ শক্তিশালী করে তোলে। 

তাই, বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় নিয়মিতভাবে হলুদ-গোলমরিচ খেলে ঠান্ডা লেগে সর্দি-জ্বর হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। পাশাপাশি বাড়ে দেহের ইমিউনিটি। ফলে অন্যান্য ভাইরাল অসুখ থেকেও দূরে থাকা যায়। 

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ