গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা এবং শয়তানের প্ররোচনা থেকে সুরক্ষা পাওয়া প্রতিটি মুমিনের কামনা। রাসুলুল্লাহ (স.) আমাদের জন্য একটি সহজ কিন্তু অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ দোয়া শিখিয়ে গেছেন, যা পাঠ করলে সারাদিন গুনাহ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
হাদিসে বর্ণিত দোয়াটি হলো- لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহয়ি ওয়া ইউমীতু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িং কাদীর।’
অর্থ: ‘একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তাঁর কোনো শরিক নেই। সমস্ত রাজত্ব তাঁরই এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবন দান করেন ও মৃত্যু দান করেন। আর তিনি প্রতিটি জিনিসের উপর সর্বশক্তিমান।’
কখন এবং কীভাবে পড়বেন?
হজরত আবু জার (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের পর, হাঁটু মোড়া অবস্থাতেই কারো সঙ্গে কথা বলার আগে দোয়াটি ১০ বার পড়বে তার জন্যে ১০টি পূণ্য লেখা হবে, তার ১০টি গুনাহ মাফ করা হবে, তার ১০টি মর্যাদা বুলন্দ করা হবে। পুরোটা দিন সে সবরকম অপ্রীতিকর বিষয় থেকে সুরক্ষিত থাকবে। শয়তানের অনিষ্ট থেকে তাকে বাঁচিয়ে রাখা হবে। সেদিন আল্লাহর সঙ্গে শিরকের গুনাহ ছাড়া আর কোনো গুনাহ তার কাছে ঘেঁষতে পারবে না।’ (তিরমিজি: ৩৪৭৪)
এই দোয়ার ৬ ফজিলত (হাদিস অনুযায়ী)
১. ১০টি নেকি লেখা হবে
২. ১০টি গুনাহ মাফ করা হবে
৩. ১০টি মর্যাদা উন্নত করা হবে
৪. সারাদিন অপ্রীতিকর বিষয় থেকে সুরক্ষা
৫. শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা
৬. সারাদিন গুনাহ থেকে সুরক্ষা (শিরক ছাড়া)
বিশেষ নির্দেশনা
দোয়াটি পড়তে হবে ফজরের নামাজের পরই। হাঁটু মুড়ে বসে (বিছানা ছেড়ে ওঠার আগে) এবং কারো সঙ্গে কথা বলার আগে।
এই সহজ আমলটি আমাদের দৈনিক রুটিনের অংশ করে নিলে আমরা আল্লাহর বিশেষ রহমত ও সুরক্ষা লাভ করতে পারি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এই ফজিলতপূর্ণ আমল নিয়মিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।