মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান এবং তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়।


সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


নাঈমুল ইসলাম খান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের মাস দুয়েক আগে, ২০২৪ সালের ৬ জুন, শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। ওই বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং পরবর্তী সময়ে তার পরিচালিত পত্রিকাগুলো বন্ধের ঘোষণা দেন।


গত জানুয়ারিতে নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক এবং সে সময় তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিসও পাঠানো হয়। নির্ধারিত সময়ে বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুদক তাদের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়।


বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে মোট ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব পাওয়া গেছে। এসব হিসাবে প্রায় ৩৮৬ কোটি টাকা জমা হয়, যার মধ্যে ৩৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা ইতোমধ্যে তোলা হয়েছে। বর্তমানে হিসাবগুলোতে রয়েছে ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা।


নাঈমুল ইসলাম খানের নামে থাকা ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯৯০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ২৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা জমা হয়েছিল, যার মধ্যে ২৩৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা তোলা হয়েছে। তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টির নামে ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ২০০৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা জমা হয়েছিল, যার মধ্যে তোলা হয় ১৩ কোটি টাকা।


এছাড়া, নাঈমুল ইসলাম খানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৪৬টি ব্যাংক হিসাবে মোট জমা হয় ১২৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। নাঈমুল ইসলাম খান এবং তার স্ত্রী-সন্তানরা মোট ১২টি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, যার সর্বমোট সীমা ২৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৭ টাকা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২৫ আগস্ট নাঈমুল ইসলাম খানের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হলেও এর আগেই তারা প্রায় সব অর্থ তুলে নেন


সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ