রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫

মোহাম্মদপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

মোহাম্মদপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মো. রাসেল (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিপ্লব নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউসিংয়ের ৪ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় পেপার বাবু ও মোবারক নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।


নিহত রাসেল পেশায় একজন মাইক্রোবাসচালক ছিলেন। তিনি চন্দ্রিমা মডেল টাউনের ৫ নম্বর রোডের ২০/এ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।


জানা গেছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাসেলের ঘাড়ে আঘাত করে। ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় রাসেলকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত রাসেলের বিস্তারিত পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।


এ ব্যাপারে আহত রাসেলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী শাহিন বলেন, আমি ভ্যানগাড়িতে সবজি বিক্রি করি। হঠাৎ চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি, এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। পরে আমি আর পাশের দোকানদার তাইজুল মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান সে আর বেঁচে নেই। কে বা কারা কুপিয়েছে, আমরা বলতে পারি না বলেও জানান তিনি।



এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ওসমান মাসুম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। এ ছাড়া, আহত বিপ্লব নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকেও তথ্য নেয়। চন্দ্রিমা বাজারের পাশে মুরগির দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে পেপার বাবু ও বিপ্লবের মধ্যে বিরোধ চলছিল। রাতে বিপ্লব ও রাসেল ভ্যানে বসা অবস্থায় কয়েকজন এসে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে রাসেল মারা যান, আর বিপ্লব পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


ঘটনার মূল হোতা পেপার বাবু ও মোবারক নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। সিসি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তিন ঘণ্টার মধ্যেই পেপার বাবু ও মোবারককে আটক করা হয়েছে। নিহত রাসেলের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ