চলতি বছর মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৭৯.৬৬ যা ২০২৩ সালে ছিল ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ছিল ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ। এ বছর মোট ১৪ হাজার ২০৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৪৬৭ জন ছাত্রী আর ৬ হাজার ৭৩৯ জন ছাত্র। পাসের হারের দিক থেকে যশোর শিক্ষা বোর্ড ১১টির মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে, এই শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সিলেট বোর্ডে পাসের হার সবচেয়ে কম, ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
অন্যান্য বোর্ডের পাসের হার হলো - রাজশাহী বোর্ডে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৫ শতাংশ, ঢাকা বোর্ডে ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে।
এদিকে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বেলা ১১টার দিকে গণভবনে ডিজিটালি আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে, সকাল ১০টার দিকে বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ বোর্ডে পাস করেছে ৯৯ হাজার ৭২১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৮ জন। এদিকে, ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড, আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে। এবার ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।