পাখির খাদ্য বলে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ৩২ টন পণ্যের মধ্যে ২৫ টন পপি বীজ পেয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। দুইটি কনটেইনারে করে এই পণ্য আমদানি করেছে চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জের মেসার্স আদিব ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
অঙ্কুরোদগম উপযোগী হলে পপি বীজ মাদক হিসেবে গণ্য হয়। সরকারের আমদানি নীতি আদেশে এই বীজ আমদানি নিষিদ্ধ। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জব্দকৃত বীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।
আমদানি নিষিদ্ধ এ পণ্যের চালান সম্প্রতি জব্দ করা করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, পাখি খাদ্য ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তান থেকে দুই কনটেইনারে ৩২ হাজার ১০ কেজি পণ্য আমদানি করে চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জের আদিব ট্রেডিং। এই চালান খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এমএইচ ট্রেডিং। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কনটেইনার দুইটির পণ্য খালাস স্থগিত করে ২২ অক্টোবর কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এ সময় কনটেইনারের সামনে পাখি খাদ্য এবং ভেতরের দিকে পপি বীজ পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের এক কর্মকর্তা বলেন, কনটেইনারের সামনের দিকে ৭ হাজার ২০০ কেজি পাখি খাদ্য দিয়ে ভেতরে কৌশলে ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি পপি সিড ঢেকে রাখা হয়েছিল।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, কায়িক পরীক্ষার পর উভয় পণ্যেরই নমুনা বন্দরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
তাতে পপি বীজ শনাক্ত হয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস বলছে, পপি বীজ অংকুরোদগম উপযোগী হলে তা মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুসারে ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত। আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ এর অনুচ্ছেদ ৩ (১) (খ) অনুসারে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় পপি বীজ ১৫ নম্বরে রয়েছে। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য আনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কিছু প্রজাতির পপি গাছ থেকে আফিম সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। বীজ যখন জন্মাতে শুরু করে, তখন শুঁটি বা বীজকোষে কস থাকে; এসময় আফিম পাওয়া যায়। আর শুঁটি শুকানোর পর পোস্তদানা সংগ্রহ করে মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম


















