সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

হাসিনার রায় ঘোষণার আগে চিফ প্রসিকিউটরের ফেসবুক পোস্ট

হাসিনার রায় ঘোষণার আগে চিফ প্রসিকিউটরের ফেসবুক পোস্ট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণার আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, আসসালামু আলাইকুম বাংলাদেশ। আল্লাহ এ দেশকে শান্তি ও নিরাপত্তার জনপদ হিসেবে চিরপ্রতিষ্ঠিত রাখুন। আমিন।

 এদিকে, হাসিনার ফাঁসির দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসেছেন আহত জুলাইযোদ্ধারা। 

এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের সামনে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত মীর মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেছেন, গুম-খুন-হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবার এবং গত ১৭ বছর ধরে নির্যাতিত মানুষের একটাই প্রত্যাশা—শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর করা হোক।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অন্যায়-অপরাধের বিচার ৫ আগস্টেই হয়ে গেছে। এখন শুধু আদালতের আনুষ্ঠানিক রায়ের প্রকাশের অপেক্ষা। হাসিনা যে অপরাধ করেছে, তার জন্য যদি তাকে হাজার বারও ফাঁসি দেওয়া হয়, সেটাও তার জন্য কম হয়ে যাবে।  

অন্যদিকে, শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার ভালোভাবে হয়েছে, স্বচ্ছ হয়েছে। তবে ট্রাইব্যুনালের রায়ে শেখ হাসিনা খালাস পেলে আমি সবচেয়ে খুশি হতাম।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রথম মামলা হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। 

পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শুরু হয় গত বছরের ১৭ অক্টোবর। সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনও আসামি। তাদের মধ্যে মামুন দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। 

এ মামলায় ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৪ জন। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় চলতি বছরের ৩ আগস্ট। প্রথম সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টের বীভৎসতার চিত্র তুলে ধরেন খোকন চন্দ্র বর্মণ। গত ৮ অক্টোবর মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মাধ্যমে শেষ হয় সাক্ষ্যগ্রহণের ধাপ। 

এরপর গত ২৩ অক্টোবর প্রসিকিউশন ও স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণের জন্য ১৩ নভেম্বর দিন রাখা হয়। এদিন রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ঠিক করা হয়।


সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ