বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম

যে আইন করেছে সেটা বাস্তবায়নের সদিচ্ছা নাই ইসির: এনসিপি

যে আইন করেছে সেটা বাস্তবায়নের সদিচ্ছা নাই ইসির: এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা বলেছেন, একটা সুন্দর বিধি আপনারা করেছেন। কিন্তু আইনের ভেতরে অনেক অস্পষ্টতা এবং কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। মাইকের ক্ষেত্রে ৬০ ডেসিবল শব্দের মাত্রার কথা বলেছেন। কিন্তু এটা মাপার যন্ত্র কী আছে? নির্বাচন ঘনিয়ে এলে অস্ত্রের ঝনঝনানি নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে অন্য দলের প্রার্থীকে সুরক্ষা দেবেন। যে আইন করেছেন সেটা বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা এবং সদিচ্ছা নাই আপনাদের।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, বিলবোর্ডের ক্ষেত্রে কাপড় দিয়ে করা, এটা প্র্যাকটিক্যাল না। দলে ব্যয় ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। এখন একটা বিলবোর্ড করতেই ২০ লাখ টাকা লাগে। এতে অন্যায্য প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এগুলো কীভাবে ব্যবস্থা করবেন। একটা সুন্দর বিধি আপনারা করেছেন। কিন্তু আইনের ভেতরে অনেক অস্পষ্টতা এবং কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে।

একই বৈঠকে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গণভোট নির্বাচনের দিন হওয়ার কথা। অথচ ইসি গণভোট নিয়ে এখনো প্রস্তুত না। গণভোট করার কোনো প্রস্তুতি ইসির দেখছি না। কীভাবে গণভোট হবে, এটা দেখছি না। তাই ইসিকে বলেছি দ্রুত গণভোটের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য।

নির্বাচনী জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে পারে—এই সিদ্ধান্তে অটল থাকাতে হবে জানিয়ে নাসীরুদ্দীন আরও বলেন, কেউ যদি নিজের শরীর থাকে কিন্তু অন্যের জামা পরে যায়… সেটা ঠিক নয়। এখন একটা সুযোগ এসেছে নিজ দল নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার। প্রতিটি দলের জন্য যদি একজন করে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়, তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সহজ হবে এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমও আরও সুচারুভাবে সম্পন্ন করা যাবে।


অপরদিকে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার রোধে মেটা, টিকটকের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।


বড় একটা সংখ্যক জেনজি যারা আন্দোলন করেছিলেন তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ চেয়ে এনসিপির নেতারা বলেন, যাদের বয়স নির্বাচনের আগে ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাদের ভোটার করতে হবে। তরুণ-জেনজিদের ভোটের আওতায় আনতে হবে।


সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ