দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি–রপ্তানি স্বাভাবিক থাকলেও চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। পহেলা ডিসেম্বর থেকে এই স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে গত চার মাসে এই বন্দর দিয়ে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৭০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে বলে হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ১২ অগাস্ট ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর দুই দফায় আমদানির অনুমতির মেয়াদ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে।”
চাল আমদানি বন্ধ হলেও অন্যান্য পণ্য আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান জানান।
এদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় হিলি স্থলবন্দরের বাজারে চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের চালের মোকাম ঘুরে দেখা যায়, আমদানি করা ভারতীয় স্বর্ণা জাতের চাল খুচরা ৬৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে; যা আগে ছিল ৭২ টাকা। আর হাইব্রিড মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়; আগে ছিল ৫৩ থেকে ৫৪ টাকা।
আমদানিকারক দীনেশ পদ্দার বলেন, ‘ক্রেতা সংকটের কারণেও চালের দাম কমিয়ে দিয়েছেন তারা। তারপরও ক্রেতা নেই। এতে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম



















