শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত

তিন দফা দাবিতে চলমান 'কমপ্লিট শাটডাউন' বা কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা।

বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এবং প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।

এতে বলা হয়, নৈতিকতা, মানবিকতা এবং শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আগামী রোববার থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উভয় পরিষদের আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।

গত বুধবার থেকে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'কমপ্লিট শাটডাউন' বা সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন সহকারী শিক্ষকেরা।


বর্তমানে সহকারী শিক্ষকেরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। অন্যদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১ তম। আন্দোলনের মুখে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।


শিক্ষকেরা বলছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে ২২ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।


এদিকে, প্রাথমিকের শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সামছুদ্দীনকে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহফুজা খাতুনের সই করা এক আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


চলমান আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক সামছুদ্দীন এবং আরও ৪ সহকারী শিক্ষক। তাদের নেতৃত্বে 'প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ' উত্থাপিত তিন দাবি হলো—সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতার অবসান এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ