সামনের সময়গুলো ভালো নয়, কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামাড়বাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, আমি গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় থেকে বলে আসছি আমাদের সামনের সময়গুলো কিন্তু খুব ভালো নয়, সামনে অনেক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
তিনি আরও বলেন, দেশ নিয়ে নানারকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে গণতন্ত্র। আমরা যদি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, যেকোনো মূল্যে জনগণের মতামতকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তবে সকল ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দিতে পারব।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলার লাগাম টেনে ধরতে হবে। এই দুই বিষয় সফল না হলে নারী, কৃষি, স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা একমাত্র বিএনপির পক্ষেই সম্ভব।
তিনি বলেন, মানুষ যখন বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে তখন আমাদের প্রধান কাজ হবে দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা। ১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ মানুষকে এক কাতারে দাঁড়াতে হয়েছে। আজ দেশ গড়ার পরিকল্পনা সফল করতে হলে, মানুষকে ভালো অবস্থানে নিতে হলে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার সরকার দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল, মানুষের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেছিল। তাদের সেই রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমরা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যা ৩১ দফা নামে পরিচিত।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারের মতো কিছু মানুষ বিএনপিকে এখন সমালোচনা করছে। যারা বলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে দেখেছেন, এবার আমাদের দেখুন, তাদেরকে মানুষ ১৯৭১ সালে দেখেছে। কীভাবে তারা লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে, মা-বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করেছে।
রাজনীতির ময়দানে বেহেশতের টিকিট দেওয়ার আশ্বাস প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, বেহেশত বা দোজখ দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ, এগুলো যারা বলে তারা শিরক করছে। পরকালে কে কোথায় যাবে, তার সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার একমাত্র সৃষ্টিকর্তার।
নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাবাজার পত্রিকা.কম



















