ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে চার দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ভূমিধস ও বন্যার পানিতে ডুবে রাজ্যটিতে এ পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের বরাতে আজ শনিবার হিন্দুস্তান টাইমস এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদেন বলছে, সবমিলিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। বহু মানুষ এখনো ঘরছাড়া। নিখোঁজ হয়েছেন অনেকে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধীরে ধীরে কিছু নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়ায় গোমতী বাদে সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে চলে বইছে। প্রাথমিক অনুমান বলছে, প্রায় ৫ হাজার কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে ত্রিপুরায় বন্যার জেরে। তবে, সূত্রের খবর, গত কয়েক ঘণ্টায় ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খানিকটা উন্নতির দিকে।
প্রতিবেদন বলছে, শুধু ১৯ আগস্ট ২৮৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ত্রিপুরার ৮ বন্যা বিধ্বস্ত জেলায়। যা সর্বাধিক বর্ষণ বলে মনে করা হয়। ত্রাণের জন্য ইতোমধ্যে ৪০ কোটি টাকার প্যাকেজ কেন্দ্রের পক্ষে তুলে দেয়া হয়েছে ত্রিপুরাকে। এরইমধ্যে ত্রিপুরায় ১১টি এনডিআরএফ-র দল ত্রিপুরায় পৌঁছেছে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে। বিমানবাহিনীর চারটি হেলিকপ্টার নেমেছে ত্রাণের কাজে।
এদিকে, ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। রয়েছে আরও বর্ষণের পূর্বাভাস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ভারী বর্ষণ হতে পারে আরও কয়েকদিন। আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বর্ষণের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, অবিরাম বৃষ্টির ফলে ত্রিপুরার একাধিক জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী এবং খোয়াই জেলা। উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। আটটি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
//এলএইচ//