শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

রাজসাক্ষী হওয়ায় ক্ষমা পেয়ে গেছেন সাবেক আইজিপি মামুন

রাজসাক্ষী হওয়ায় ক্ষমা পেয়ে গেছেন সাবেক আইজিপি মামুন

জুলাই গণহত্যা মামলায় নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় শর্তসাপেক্ষে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শর্ত অনুযায়ী, তাকে নিজের ও তার সঙ্গীদের অপরাধের বিষয় ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরতে হবে। একইসঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে কারাগারে অন্য বন্দিদের সঙ্গে না রেখে আলাদা জায়গায় রাখতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের আদেশের লিখিত অনুলিপি শনিবার (১২ জুলাই) প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছিলেন।

আদেশে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল মনে করে অভিযুক্ত চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করা যেতে পারে এবং সে অনুযায়ী তাকে ক্ষমা করা হলো এই শর্তে যে, তিনি জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিস্তারিত ও সত্য বিষয় তুলে ধরবেন এবং যেসব অভিযোগ এসেছে এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে সবার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেবেন, যতটুকু তিনি জানেন। এসব শর্ত এবং ট্রাইব্যুনাল যখন চাইবে তখন হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদানের শর্ত মেনে তিনি (চৌধুরী মামুন) এ ক্ষমা গ্রহণ করেছেন।

আদেশে আরও বলা হয়, যেহেতু অভিযুক্ত চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন, এখন তার নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে কারাগারে অন্যান্য বন্দিদের থেকে আলাদা রাখা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হলো।

সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুনের আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, রাজসাক্ষী হিসেবে জুলাই গণহত্যার সব বিষয় ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরে বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করলে, তবেই এ ক্ষমার আদেশ বাস্তবায়ন হবে। 


এর আগে, গত ১০ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।


ওইদিন তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বলেছেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে আমাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা সংঘটনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য। এ ঘটনায় আমি নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করছি। আমি রাজসাক্ষী হয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার বিস্তারিত আদালতে তুলে ধরতে চাই। রহস্য উন্মোচনে আদালতকে সহায়তা করতে চাই।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ