রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ‘নুরাল পাগলা’র দরবার শরীফকে ঘিরে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এতে অজ্ঞাত সাড়ে তিন হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে এবং একই রাত ১২টার পর গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। শনিবার সকালে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা দরবার শরীফে হামলা চালালে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে নুরাল পাগলার অনুসারীরা। এসময় দফায় দফায় সংঘর্ষে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন।
ওসি রাকিবুল ইসলাম বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা হয়, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। পরবর্তীতে তৌহিদী জনতা দরবার শরীফে প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগও করে।”
উল্লেখ্য, নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে মাটি থেকে কিছুটা উঁচু কবর নির্মাণ করে দাফন করা হয়, যা দেখতে কাবা শরিফের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। বিষয়টি ঘিরে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তৌহিদী জনতা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায়।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দরবার শরীফে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান ওসি।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার চেষ্টা চালাচ্ছিল, তবে উত্তেজনা প্রশমিত করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবারের ঘটনা সেই অস্থিরতারই পরিণতি।