সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে ইসরায়েলের হামলা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য দ্রুত ইসিকে জানাতে বললেন সালাহউদ্দিন বাংলাবাজার পত্রিকা.কম নিজ দলের নারী কর্মীকে কুপ্রস্তাব এনসিপি নেতার, অডিও ফাঁস! বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘রিমঝিম’, তিন বিভাগে বন্যার শঙ্কা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম হাসিনা-কামালকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে এখনও গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়’ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম লন্ডন থেকে দেশে ফিরে যে বার্তা দিলেন আমীর খসরু বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ইডেন কলেজের পুকুরে পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে নিহত ৩৯০

রাজবাড়ীতে হালি পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

রাজবাড়ীতে হালি পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

সারাদেশের মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের ১৪ ভাগ উৎপাদন হয় রাজবাড়ী জেলায়। তাই হালি পেঁয়াজ রোপণে এই মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকরা।

অনেকেই আবার রোপণ শেষে ব্যস্ত ক্ষেত পরিচর্যায়। এ বছর বিএডিসির সরবরাহকৃত প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে চারা না গজানোয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার প্রায় চার হাজার কৃষক।  

যে কারণে শেষ সময়ে বেশি দামে বীজ কেনার পাশাপাশি সার-কীটনাশক ও শ্রমিক মজুরি-সেচের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে বলে দাবি কৃষকদের। সরকারের কাছে পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণের দাবি তাদের।  

আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক থেকে দেড় হাজার হেক্টর বেশি জমিতে হালি পেঁয়াজের আবাদ হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।

সদর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের কৃষক ছলেমান শেখ বলেন, এ বছর কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের প্রণোদনার মাধ্যমে যে বীজ দেওয়া হয়েছিল তা থেকে চারা গজায়নি। যে কারণে শেষ সময়ে আমাদের পাঁচ হাজার টাকা কেজি দরে পেঁয়াজের বীজ কিনে চারা উৎপাদন করতে হয়েছে। এছাড়া সার-কীটনাশক ও শ্রমিক মজুরি-সেচের দাম বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে।

বড় ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আমিন মোল্লা বলেন, জমি প্রস্তুত, বীজ, সার, সেচ ও শ্রমিক খরচসহ প্রতিবিঘা জমিতে (৩০ শতাংশে এক বিঘা) হালি পেঁয়াজ চাষে খরচ হবে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। তিন মাস পরেই এ পেঁয়াজ বাজারে তোলা যাবে। প্রতিমণ পেঁয়াজ যদি তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা বিক্রি করা যায় তাহলে আমাদের লাভ থাকবে। এর কমে বিক্রি হলে আমাদের লোকসান হবে। আর লোকসান হলে কৃষকরা পেঁয়াজ আবাদের আগ্রহ হারাবে। তাই সরকার যেন কৃষকের মুখের দিকে তাকিয়ে পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। কৃষকরা যাতে লোকসানের মুখে না পড়েন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনে রাজবাড়ী জেলা সারাদেশের মধ্যে তৃতীয়। এ বছর রাজবাড়ী জেলায় ৩০ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন। আশা করা যাচ্ছে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক থেকে দেড় হাজার হেক্টর বেশি জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হবে।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ