তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক সংগঠনের প্লাটফর্ম ‘জবি ঐক্য’র মতামতের ভিত্তিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসানসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতারা একাত্মতা পোষণ করেন।
এদিকে, প্রশাসনের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, কিছু একটা ঘটলেই যমুনায় যাওয়ার প্রবণতা সহ্য করা হবে না। এ ক্ষেত্রে সরকার কঠোর হবে।
উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে দ্রুতই প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবে। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবির বিষয়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনের বিষয়ে সরকার কথা শুনবে। কিছু হলেই যমুনায় চল, এমন আর হবে না। সরকার কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা কাকরাইল মসজিদের সামনেই অবস্থান করব। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলে তার দায় উপদেষ্টাদের নিতে হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা নিশ্চিত, বাজেট বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লংমার্চ করেছে জবি শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন তারা। মিছিলটি কাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হন কয়েকজন। পরে রাতে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে কথা বলার সময় শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তথ্য উপদেষ্টার মাথায় পানির বোতল ছুঁড়ে মারা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিতর্কিত করতে কে বা কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বোতল নিক্ষেপ করেছে। এই ঘটনার জন্য আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।