বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫

শান্তির খোঁজে ইস্তাম্বুলে মুখোমুখি রাশিয়া-ইউক্রেন

শান্তির খোঁজে ইস্তাম্বুলে মুখোমুখি রাশিয়া-ইউক্রেন

স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সোমবার (২ জুন) তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে মুখোমুখি হচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কিয়েভের পক্ষ থেকে মস্কোর প্রতিনিধিদের কাছে একটি প্রস্তাবিত রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, যারা নথিটি দেখেছে।

রোডম্যাপে ৩০ দিনের একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া উভয় পক্ষের বন্দিদের বিনিময় এবং রাশিয়ার ভূখণ্ডে থাকা ইউক্রেনীয় শিশুদের ফেরত দেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পরবর্তী ধাপে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠকের সম্ভাবনাও তুলে ধরা হয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের অবসানে সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর কূটনীতিকরা কাজ করে চলেছেন। তারা এমন একটি কাঠামো নির্মাণের চেষ্টা করছেন, যা তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি ঘটাতে পারে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা আলোচনার জন্য রাশিয়াকে একটি পরিকল্পনা পাঠিয়েছে। রয়টার্সের মতে, এই রোডম্যাপ পূর্বের প্রস্তাবগুলোরই পুনরাবৃত্তি, যার মধ্যে রয়েছে—ইউক্রেন সেনাবাহিনীর ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করা, দখলকৃত অঞ্চলকে রাশিয়ার সার্বভৌম অংশ হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া এবং যুদ্ধক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনকে ক্ষতিপূরণ দেয়া।

এছাড়া আলোচনায় যুদ্ধক্ষেত্রের বর্তমান সীমারেখা নিয়েও সমঝোতা হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। তবে রাশিয়ার প্রকাশ্য দাবির সঙ্গে ইউক্রেনের প্রস্তাবনার দিক একেবারেই ভিন্ন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।


এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মস্কো ও কিয়েভকে দ্রুত যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়ার পক্ষ থেকেও ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রস্তাব এসেছে।


ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রাশিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের (স্মারকলিপি) অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও এই প্রস্তাব এখনো হাতে পৌঁছায়নি, তবুও রোববার তিনি জানিয়েছেন, ইস্তাম্বুলে আলোচনার জন্য ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ